জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) দ্বিতীয় বৈঠকে ৯ হাজার ১০৪ কোটি টাকার ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
রোববার বিকেলে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
এবারের একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬৯৮ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ইনোভেটিভ ম্যানেজমেন্ট অফ রিসোর্সেস ফর প্রভার্টি এলিভিয়েশন থ্রো কমপ্রিহনসিভ টেকনোলজি ফেজ-২ প্রকল্প। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা।
১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের লার্নিং এন্ড আরনিং ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কন্সট্রাকশন অব স্মল ব্রিজ/কালভার্টস (আপ টু ১২ মিটার লং) অ্যাট চিটাগাং হিলট্র্যাক্টস রিজিওন (সেকেন্ড ফেজ) প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ময়মনসিংহ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৪৪৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে ।
স্থানীয় সরকারের জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ৪টি ব্রিজ নির্মান প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৪ কোটি টাকা।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আশুগঞ্জ-আখাউড়া সেকশনের ৩টি ষ্টেশনের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে ১০ কোটি এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা রেলওয়ে ষ্টেশন ও ইয়ার্ড রি-মডেলিং এবং বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের অপারেশনাল সুবিধাদির উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭ কোটি টাকা।
সড়ক বিভাগের মির্জাপুর (গড়াই) সখিপুর সড়ক উন্নয়ন (সংশোধিত) প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক্সটেনশন অব বড়পুকুরিয়া কোল ফায়ারড থার্মাল পাওয়ার ষ্টেশন বাই ২৭৫ মেগাওয়াট (তৃতীয় ইউনিট) প্রকল্পটির ব্যয় ২ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। সরকারি তহবিল থেকে ৬৪৮ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তায় ১ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২০৪ কোটি।
বিদ্যুৎ বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট এইচএফও (হাইড্রোলিক ফার্নেস অয়েল) বেজড পাওয়ার প্লান্ট প্রজেক্টটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। সরকারি তহবিল থেকে ১৪৬ ও পিডিবির ৭৫ কোটি এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৯৩ কোটি টাকা দিয়ে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কনস্ট্রাকশন অব খুলনা কোল বেজড পাওয়ার প্ল্যান্ট কানেকটিং রোড প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা।
সভা শেষে পরিকল্পণামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রীফ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
0Share