রামগতিতে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস নেমেছে
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস নেমেছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রবল চাপে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা অতিদ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার বড়খেরীর বেড়িবাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। পুরোনো এ বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি স্থানীয়দের। এ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আশপাশের এলাকাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে, লোকালয়ে প্রবেশ করবে জোয়ারের পানি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি মেরামত করা হবে।
সরেজমিনে রামগতি মাছঘাট সংলগ্ন তীর রক্ষা বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বড়খেরী এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে ১৫ থেকে ২০ স্পটে সিসি ব্লকগুলো দেবে গেছে। বাঁধটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাঁধটির বড় ধরনের কোন ক্ষতি হলে রামগতি বাজারসহ আশেপাশের এলাকাগুলো চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
বড়খেরী বেড়িবাঁধ এলাকার মো. আরিফ জানান, নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধটির কয়েকটি জায়গায় নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিসি ব্লক দেবে গেছে। আগে বাঁধের ৮টি স্থানে দেবে গেছিল কিন্তু এতদিনেও তা ঠিক করা হয়নি। এখন তা বেড়ে ১৫-২০টি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, দ্রুত ওই ক্ষতিগ্রস্থ অংশগুলোর মেরামত জরুরি।
বড়খেরী বেড়িবাঁধ এলাকার বাদাম বিক্রেতা দিলিপ দাস জানান, নদীর প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধটির কয়েকটি জায়গায় দেবে গেছে। এতে করে ঝুঁকি বেড়ে গেছে। ঝুঁকি এড়াতে বাঁধটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। নচেৎ জোয়ারের পানি ভেসে যাবে বাঁধের ভিতরে থাকা গ্রামগুলোতে।
বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সফিকুল ইসলাম বলেন, বাঁধটির গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্পটে সিসি ব্লক দেবে, মাটি সরে গিয়ে বাঁধটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাঁধটির বড় ধরনের কোন ক্ষতি হলে বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ীসহ রামগতি বাজার ও আশেপাশের এলাকাগুলো চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আ ম ম নঈম বলেন, এলাকাগুলো আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করবো। অর্থ বরাদ্দ পেলে তা সমাধান হয়ে যাবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। নদীতে তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে এমনটা হয়েছে। জরুরিভাবে বাঁধটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধের কয়েক জায়গায় ধস ও বেড়ীর উপরে গর্তের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের ক্ষতি হয়। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। আশা করি পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুতই ব্যবস্থা নিবে।
41Share