নিজেস্ব প্রতিবেদক || লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয়টি টেন্ডারের অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া টেন্ডার সম্পূর্ণ হলে অনিয়মের সম্পূর্ণ চিত্র দেখা যাবে বলেন তারা।
বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর সকালে দুদকের সমন্বিত চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের চাঁদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) উপসহকারী পরিচালক কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক সূত্র জানায়, হাসপাতালের ৬টি টেন্ডারের কাজে অনিয়মের অভিযোগে তারা আজ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন। তারা সেই টেন্ডার গুলোর সকল তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তা পর্যালচনা করে রিপোর্ট জমা দিবেন। এছাড়া প্রাথমিক তদন্তে অনিয়মের কিছুটা প্রামান পেয়েছেন বলে জানান তারা। বাকি সব তথ্য সংগ্রহ শেষে এবং টেন্ডার সম্পূর্ণ হলে সব পরিস্কার হবে বলে জানান তারা।
চাঁদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) উপসহকারী পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, ছয়টি টেন্টারের অনিয়মের অভিযোগে আজ তারা অভিযান চালান। কিছু টেন্ডার চলমান থাকায় সম্পূর্ণ অনিয়ম নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সেই টেন্ডার গুলো শেষ হলে এবং বাকি সব তথ্য সংগ্রহ শেষে সব দুর্ণীতি বুঝা যাবে। তবে এখন যা পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে কমিশনের কাছে। তদন্তের সার্থে সব তথ্য এখন বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের এমআরএস ক্রয় সামগ্রীর চলমান টেন্ডারের সব তথ্য সংগ্রহ করে। আমি মনে করি বিধি মতো সব হয়েছে। এখন যা যা হয়েছে এসব তথ্য এখন বলা যাবে না। তবে তারা যে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন তা তারা বলবে। গত দুই মাস আগের অভিযানের রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি। তবে যা যা সমস্যা হয়েছে তা আমরা পর্যাক্রমে তদারকি রেখেছি।
এর আগে ৪ আগস্ট দুদকের আরেকটি টিম এই হাসপাতালে অভিযোন পরিচলনা করেন। সেখানে বেশ কয়েকটি অনিয়মের প্রামণ পান তারা। অভিযানে উঠে আসে, হাসপাতালের রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবার নিম্নমানের এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়নি। এছাড়া, মজুত থাকা সত্ত্বেও রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে না এবং রুগিদের থেকে টাকা নিয়ে ঔষুধ দিচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে রুগি ভর্তি করা এবং ওয়ার্ড বয় দিয়ে ডাক্তারি কাজ করানো। সময় মতো ডাক্তারদের উপস্থিত না থাকা ইত্যাদি। অনিয়মকারীদের শোকজ করা হয়।
তবে দুই মাসের মধ্যে হাসপাতালে দুদকের অভিযান প্রমাণ করে যে হাসপাতালটিতে ব্যাপক অনিয়ম চলছে। যা প্রকাশ্যে এনে দায়ীদের বিচার দাবী করছেন সচেতন মহল।
0Share