লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে “৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ১৫ হাজার টাকায় রফাদফা’’ এমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলে দৈনিক যুগান্তর ও কালের কণ্ঠ’র নাম উল্লেখ করে থানায় জিডি করেছেন সাবেরহা্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের। গত ৩ নভেম্বর তারিখে কমলনগর থানায় জিডিটি করা হয়। কিন্ত ১০ নভেম্বর তারিখে ডিজিটি ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের নজরে আসে।
এর আগে ১ নভেম্বর তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় “‘কমলনগরে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অতঃপর…’’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে একই ঘটনার অন্য একটি সংবাদ দৈনিক কালেরকন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত সংবাদগুলোর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর সকালে মাতাব্বরহাট ব্লক কারখানায় ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রাইভেট) লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার মো. নাহিদের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে ওইদিনই অভিযুক্ত নাহিদকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে সে পালিয়ে যায়। সে ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক যুগান্তর ও কালেরকন্ঠে।
দৈনিক যুগান্তরের রামগিত প্রতিনিধি সাজ্জাদুর রহমান জানায়, এ ঘটনায় নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যুগান্তর ও কালেরকন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় ৩ নভেম্বর পত্রিকার নাম উল্লেখ করে থানায় জিডি করেছেন চেয়ারম্যান। তবে জিডিতে পত্রিকার কোন প্রতিনিধিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
জানতে চাইলে আবুল খায়ের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমি ভূক্তভোগী পরিবারকে আইনগত সহায়তা নিতে বলেছি। তবে তাদের (অভিযুক্ত ও ভূক্তভোগী) সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ ছিল না। ওইদিন আমি ঢাকায় ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ যেন আমার সম্মানহানি করতে না পারে সেজন্য আমি জিডি করেছি। কারো উপর আক্রোশ থেকে জিডি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, পত্রিকা ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়নি। কে বা কারা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যুগান্তর-কালের কণ্ঠসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। এতে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি জিডি করেন।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় পত্রিকার নাম উল্লেখ করে চেয়ারম্যানের ডিজির ঘটনায় সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
0Share