নিজস্ব প্রতিনিধি:কমলনগরে এক মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে রোববার অতিদরিদ্র ২৫ জন নারীকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। ইউপিপি- উজ্জীবিত কর্মসূচির আওতায় পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নামের একটি
বেসরকারি সংস্থা ওই প্রশিক্ষণ আয়োজন করে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করে।
সেলাই মেশিন বিতরণ উপলক্ষে কমলনগরের চরলরেঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চরলরেঞ্চ ফরাশগঞ্জ ফয়েজাম সিনিয়র মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গেলাম ফারুক ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের লক্ষ্মীপুর অঞ্চল ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান মুন্সী, ইউপিপি- উজ্জীবিত কর্মসূচির প্রকল্প সমন্বয়কারি আসাদুজ্জামান, পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের চরলরেঞ্চ শাখা ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম, ভবানীগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল কুদ্দুস প্রমূখ।
ইউপিপি- উজ্জীবিত কর্মসূচির প্রকল্প সমন্বয়কারি আসাদুজ্জামান জানান, বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ইউপিপি-উজ্জীবিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউরিয়নের অর্থায়নে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ ও পেইজ
ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ওই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ওই কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বসতবাড়িতে সবজি চাষ, গরু মোটাতাজা করণ, ছাগল পালন ও সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ওইসব পরিবারের শিশু, কিশোরী ও গর্ভবতী মায়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুরুষদের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, পোকা দমন, কম্পোস্ট সার তৈরী ও পরিবেশবান্ধব কৃষিকাজে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ঋণ সহায়তা দিয়ে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারকে সাবলম্বী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন গ্রহন করার সময় অতিদরিদ্র পরিবারের নারী নাজমা বেগম, শারমিন আক্তার, পাভীন বেগম, লাইজু ও লিপি আক্তার বলেন, প্রশিক্ষণটি পাওয়ার পর তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। সেলাই মেশিনটি কাজে লাগিয়ে আয় করে তারা সংসারের অভাব দূর করতে সক্ষম হবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গেলাম ফারুক ভূঁইয়া বলেন, প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ কাজে লাগিয়ে ছোটো ছোটো চেষ্টার মধ্য দিয়ে অতিদরিদ্র পরিবার গুলোর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ইউপিপি-উজ্জীবিত কর্মসুচির মাধ্যমে সে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
0Share