কমলনগর : পূর্ণিমার প্রভাবে টানা চারদিনের ভারি বর্ষণ ও মেঘনা নদীর তীব্র জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৮টি হাটবাজারসহ ১৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ফুট বেড়েছে। এতে উপজেলার মতিরহাট, নাছিরগঞ্জ বাজার, জনতা বাজার, সাহেবেরহাট, তালতলা বাজার, কাদির পান্ডিতেরহাট, লুধূয়া মাছঘাট বাজার পানির নিচে ডুবে গেছে। চরকালকিনি ইউনিয়নের ৮ গ্রামসহ চরফলকন, সাহেবেরহাট ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে মেঘনাপাড়ের উপকূলীয় গ্রামগুলোর শিশু ও নারীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও জোয়ারের পানিতে মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ ডুবে যাওয়ায় বুধবার ওই বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ছিল। জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন গ্রাম ও হাট বাজার প্লাবিত হওয়ায় ওইসব বাজারের বেচাকেনায় ধস নেমেছে। আউস ধানের মাঠ,আমনের বীজতলা ও মাছের ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এদিকে জোয়ারের আঘাতে মেঘনা নদীর ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে। উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মো. সাইফ উল্যাহ জানান, বেড়ি বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে চরকালকিনি ইউনিয়নের প্রায় সবকয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি আরও বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুধবার দুপুরে প্লাবিত গ্রাম ও হাট-বাজারগুলো পরিদর্শন করেছেন।
0Share