লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৯ জেলের কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। এদের মধ্যে কমলনগর উপজেলায় ১৪ জেলের প্রত্যেকের ১ মাস মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একই সময় রামগতিতে ৫ জেলের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কমলনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন এবং রামগতি উপজেলার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুচিত্র রঞ্জন দাস ওর্ই দন্ডাদেশ দেন। এর আগে বুধবার ভোরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে নৌ-পুলিশ।
কমলনগরের সাজাপ্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছেন, ভোলা জেলার সদর উপজেলার মোঃ ফারুক, আনোয়ার হোসেন, মোঃ আজগর, মোঃ আলা উদ্দিন এবং কমলনগর উপজেলার মোঃ আমির হোসেন, মোঃ রিপন, মোঃ হাসান, জাহাঙ্গীর, শাহিন, হেলাল, মোঃ সুজন, আরিফ, গনি এবং মুসা কালিমুল্লাহ।
রামগতির সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নোয়াখালী জেলার চর জব্বর এলাকার বাসিন্দা মা. আলী হোসেন (৩৫), মো. আবুল হোসেন (৬০), মো: আজাদ (৩৩), মো. সফি উল্যা (১৮) এবং রামগতি উপজেলার চর কলাকোপার তোফাজ্জল হোসেন(৫০)।
রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর জানান, নদীতে মা ইলিশ শিকাররের সময় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস জানান, নদীতে অভিযান চলাকালে মাছ শিকারের দায়ে আটককৃত প্রত্যেক জেলের দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় ১’শ কিলোমিটার এলাকায় কোন প্রজাতির মাছধরা যাবে না। পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
0Share