লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: সারাদেশেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ পর্যায়ে। এরমধ্যে প্রার্থীদের ভোট পেতে বিভিন্ন আসনে ভোটারদেরকে টাকা দিয়েছেন প্রার্থীরা এমন অভিযোগ সব জায়গায়। আবার খাবার খাইয়ে অনেকে জরিমানা গুণেছেন। তবে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে। এখানে রকেট প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তার পালোয়ানকে ভোটের খরচের জন্য টাকা দিয়েছেন ভোটাররা। নজিরবিহীন এ ঘটনার প্রায় আড়াই মিনিটের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচনী এলাকার কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজুমিয়ারহাটে পথসভায় ভোটাররা সাত্তারকে ৫ হাজার ৬০০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এ টাকা সামান্য হলেও তিনি জনগণের আশির্বাদ হিসেবে তা গ্রহণ করেছেন।
আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ভোট করতে প্রতিদিনই অন্যান্য প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অংকের টাকা খরচ করে আসছেন। পথসভায় বক্তব্যের একপর্যায়ে আমি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছি, ব্যক্তিগত আয় দিয়ে নির্বাচনের জন্য বিশাল ব্যায় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য তিনি ভোটারদের সহযোগীতা চেয়েছেন। এ ঘোষণার পর পরই উপস্থিত ভোটাররা ১০০ থেকে ৫০০ টাকা করে কয়েকজন তার হাতে তুলে দেন। নির্বাচনী তহবিলের জন্য ভোটাররা তাকে ৫ হাজার ৬০০ টাকা দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ৩ জন ভোটার জানায়, সাত্তার ভালো মানুষ। রামগতি-কমলনগর মেঘনা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। এখানে মেঘনা নদী শাসনের জন্য তিনি কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের মাধ্যমে আন্দোলন করে আসছেন। ভাঙনরোধে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী ৩১শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও কাজের অগ্রগতি নেই বললেই চলে। একটি চক্র সাত্তারকে এখন আর আন্দোলন করতে দেয় না। যদি সাত্তার এমপি নির্বাচিত হন তাহলে এ এলাকার মানুষের প্রধান দাবি নদী শাসন দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন হবে। উপকূলের সর্বহারা মানুষজন তার পক্ষে রয়েছে। তার বক্তব্যেও সর্বহারাদের কষ্টের কথা ভেসে উঠে। আর্থিকভাবে তিনি অন্য প্রার্থীদের মতো শক্তিশালী না হলেও মানুষের হৃদয়ে বাস করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-৪ আসন রামগতি ও কমরনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনে সাত্তার ছাড়াও আরও ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে নির্বাচনী মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জাসদের সভাপতি মোশারফ হোসেন (নৌকা) ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল্লাহ (ঈগল)। মোশারফ ও আবদুল্লাহ এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
0Share