নিজস্ব প্রতিনিধি: কমলনগরে এক রাতে ৮ বাড়ি ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতদল ওইসব বাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টাও করে; লুটে নেয় নগদ ৩ লাখ টাকাসহ প্রায় ১০ ভরি স্বর্নালংকার। ঘটনার সাথে
জড়িত সন্দেহে শামীম (২৮) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার পাটোওয়ারীরহাট এলাকার শহিদ মাঝি, রইজল চেরাং, ইসমাইল, মজিদ, বাবুল, ইউসুফ, আলমগীর ও খলিলের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
সহিদ মাঝি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত সাদ্দাম জানায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতদল আইনের লোক পরিচয়ে দরজা খুলতে বলে। দরজা না খুললে তারা ভেঙে ঘরে ঢুকে। এসময় তারা ২ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা লুটে নেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি বাড়িতে একইভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদল যুবতি নারীদের টানা হেচড়া করে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে ।
পাটওয়ারীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ বিল্লাহ আলমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শামীম নামে একজনকে পুলিশ আটক করে। সে পাটোয়ারিরহাট ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহমেদ জানান, বিষয়টি ডাকাতি নয়, ৩/৪ জন মিলে নদীর পাড়ের ৬ টি ঝুঁপড়ি ঘর থেকে ৪টি মোবাইল নিয়ে যায়। এ সময় তারা এক যুবতী নারীকে তুলে নিতে চেষ্টা করে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ সোমবার গভীর রাতে উপজেলার চর জাঙ্গালীয়া গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসী ও ব্যবসায়ীসহ ৩ বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ডাকাতরা স্বর্নালংকারসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চরফলকন গ্রামে একইভাবে আরও তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় বাধা দিলে সিরাজ নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করে ডাকাতরা। ওই ঘটনায় ডাকাতদল নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামল নিয়ে যায় বলে দাবি করে ক্ষতিগ্রস্তরা।



0Share