লক্ষ্মীপুর: সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর সফলতার ১০ বছর উদযাপন করা হয়েছে লক্ষ্মীপুরে। সোমবার জেলা শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক আনড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের সিইও মীর রাশেদ বিন আমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন এসিস্ট্যান্ট এজেন্সি ডিরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম, এসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আজিম।
লক্ষ্মীপুর মেট্রো ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রমজান আলীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমলনগর মেট্রো ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ সুমন হোসেন, লক্ষ্মীপুর মেট্রো ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার হোসেন, রায়পুর মেট্রোর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আলী হোসেন এবং কমলনগর মেট্রো ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কবির হোসাইন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রায়পুর, রামগতি উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার ইউনিট ম্যানেজার ও ফিনানশিয়াল এসোসিয়েটগণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, কোম্পানির সুনাম বৃদ্ধি করতে হলে কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে হবে। আর কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে হলে গ্রাহকদের যথাযথ সেবা প্রদান করতে হবে। দেশের মধ্যে একমাত্র সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, যা প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে কাজ করে যাচ্ছে। কিভাবে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয় নিয়েই কাজ করে। তাই মানুষ এ কোম্পানির প্রতি আস্থা রেখে পলিসি করছে।
মাত্র ১০ বছরের এ পথ চলায় স্বচ্ছতা, বিশ্বস্ততা আর উন্নত গ্রাহকসেবার কারণে সোনালী লাইফ পৌঁছে গেছে মানুষের আস্থার শীর্ষে। গোটা খাত যখন বীমার ইমেজ পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন কোম্পানিটি মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
শতভাগ তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক গ্রাহক সেবার কারণে সোনালী লাইফ হয়ে উঠেছে বীমায় ডিজিটালাইজেশনের আইকন। যথাসময়ে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ না করায় বীমাখাত যেখানে ইমেজ সংকটে ভুগছে, সোনালী লাইফের স্বচ্ছ কর্মকাণ্ড সেখানে বীমার প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, যেকোনো বীমা দাবির ৭দিন এবং ম্যচুরিটি ডিও ডেটে একমাত্র প্রদান করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। যা অন্য কোন কোম্পানি করছে না। আমরা আরও দ্রুত গ্রাহকের বীমা দাবির অর্থ পরিশোধের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে সাত দিন নয়, সাত মিনিটের মধ্যে গ্রাহক তাদের এ সেবা পায়।
তিনি আরও বলেন, সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে গ্রাহক ট্রাডিশনাল ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের প্রিমিয়াম নিজেই জমা দিতে পারে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি ডকুমেন্টস নিজেই সংগ্রহ করতে পারেন।
ইচ্ছে করলেই অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে পলিসি হোল্ডার লগইনে গিয়ে নিজের হিসাব নিকাশ নিজেই দেখে আসতে পারেন। এখানে প্রিমিয়ামের অর্থ বেহাত হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।
অনুষ্ঠানের বক্তারা জানান, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ সামিটের (এসএপিএস) উদ্যোগে সাউথ এশিয়া বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২-এর চারটি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা অর্জন করে কোম্পানিটি। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এ পর্যন্ত ১২টি ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড অর্জন করেছে। এ বছর কমনওয়েলথ বিজনেস এয়ার্ড মোট ছয়টি ক্যাটাগরিতে ৫৬ দেশের মধ্যে পুরস্কার পেয়েছে।
376Share