নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে একটি হত্যার ঘটনায় পুলিশের তিন উপ-পরিদর্শক ও এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত ইসমাইল হোসেন খোকনের স্ত্রী নাহিদা আক্তার আফরিন। মামলায় বাদীপক্ষে আইনজীবী হুমায়ূন কবীর জানান, বিচারক মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
পুলিশের আসামিরা হলেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বাশার, দাসেরহাট পুলিশ ফাড়িঁর এসআই কামাল, এএসআই সারোয়ার এবং লক্ষ্মীপুর সদর থানার এসআই জিল্লুর। অপর তিন আসামি হলেন নিহত খোকনের ভাই আবুল কাশেম, আবুল হাশেম ও মানিক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, খোকনের তিন ভাই সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজসে ইসমাইল হোসেন খোকনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। গত ২ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভুঁইয়ারহাটের কাছে নূরুল্যা ডিলারের কবরের পাশ থেকে পুলিশেরে এসআই কামাল ও এএসআই সারোয়ার দুটি মোটরসাইকেলযোগে এসে ইসমাইল হোসেন খোকনকে জাপটে ধরেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষী সবুজকে আটক করেন। এ সময় মামলার আরেক সাক্ষী সোহাগ পালিয়ে যান। এরপর তারা সঙ্গে আনা একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে খোকন ও সবুজকে লক্ষ্মীপুর পুলিশের ডিবি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর রাতে খোকনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে খোকনের দুই হাঁটুর নিচে গুলি করে কুশাখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়া সেতুর কাছে ফেলে রাখেন। অভিযোগে আরো বলা হয়, সসন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে বলে নাটক সাজায় পুলিশ। কিছু সময় পর পুলিশের এসআই জিল্লুর গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
0Share