করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া লক্ষ্মীপুরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহন বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে দিনমজুর ও অসহায়দের উপার্জন। কিন্তু তাদের ঘরে খাবার নেই। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কষ্ট করা ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের। এ অবস্থায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি ছুটে চলছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৌরসভার ২, ৫, ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অসহায় বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। এতে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনসহ একটি পরিবারের এক সপ্তাহের খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। এক হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করা হয়।
সালাহ উদ্দিন টিপু সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে।
জানা গেছে, দেশে করোনা আতঙ্কের প্রথম দিন থেকে জনসচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান টিপু। হাতে মাইক নিয়ে বাজারে বাজারে হেঁটে হেঁটে সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। শুক্রবার বিকেলে শহরের কলেজ রোড, চকবাজার, গোডাউন রোড ও তমিজ মার্কেট এলাকার ওষুধের ফার্মেসি-মুদি-ফল দোকানের সামনে দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার জন্য বৃত্ত এঁকে দিয়েছেন তিনি।
সচেতন মহলের ভাষ্যমতে, এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি ও বিএনপির কোনো নেতাকে করোনা প্রতিরোধে কোনো ধরনের সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়নি। কে কোথায় আছেন সেটি জানেন না এই জেলার মানুষ। জেলার চারটি আসনের এমপিরাও এলাকায় নেই। এই মহামারির সময় জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের কাছে পাচ্ছে না।
জেলা যুবলীগ সূত্র জানায়, করোনা প্রতিরোধে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির যুবলীগ নেতাদের জনগণের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছন সভাপতি টিপু। এছাড়া তিনি জেলা বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও জনগণের সহযোগিতায় কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু বলেন, এই উপজেলার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের কাছে ঋণী। এই কষ্টের সময় তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান করছি, তারা যেন সাধ্যমতো জনগণের উপকারে কাজ করেন।
0Share