রায়পুর:রায়পুরে সোমবার দুপুর ১২ টায় বিদ্যুতের দাবিতে গাজী কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা ওই অফিসের ইলেকক্ট্রিক ইনঞ্জিনিয়ার মো. সুমনসহ অন্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গাজী কমপ্লেক্সের গার্মেন্ট ব্যবসায়ী রনি, আরিফ হোসন ও ইকবাল পরশ জানান, গত দুই মাস ধরে রায়পুরের পল্লি বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সঠিক ভাবে দিচ্ছে না। এতে করে মার্কেটের প্রায় ৪শ গ্রহক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বরিবার রাতে সংযোগ বিছিন্ন করে দেন। সোমবার সকালে দোকানে এসে ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ না পেয়ে ক্ষ্মুদ্র হয়ে উঠে। এতে সকল ব্যবসায়ী দলবদ্ধ হয়ে সংযোগের দাবিতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে এবং ইলেকক্ট্রিক ইনঞ্জিনিয়ার মো. সুমনকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ২ দিনের মধ্যে সমস্য সমাধানের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ী ফিরে আসে। রায়পুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জাকির হোসেন জানান, ১২ তলা ভবনের গাজী কমপ্লেক্সের নিচতলা অস্থায়ী ৬শ ৩০ কেবি মিটারের ট্রান্সফরমার মাধ্যমে ৪৫০ কি.ও. লোডের সাব-ষ্টেশন করা হয়। এর জন্য গাজী কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে স্থায়ী সংযোগসহ বকেয়া বিল দেয়া ও সকল নিয়ম মানার জন্য কয়েকবার নোটিশ করা হয়। কিন্তু মালিক গাজী মাহমুদ কামাল কোন জবাব দেননি। তাই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রবিবার রাতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সংযোগের দাবিতে গাজী কমপ্লেক্সের ম্যানেজার ও প্রকৌশলিসহ প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী অফিস ঘেরাও করে অফিসের ইলেকক্ট্রিক ইনঞ্জিনিয়াকে জিম্মি করে রাখে। এঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হবে। গাজী মাহমুদ কামালের ম্যানেজার মো. নাছিরুল ইসলাম জানান, ২৯ জুলাই ২৫০ গ্রাহকের দুই মাসের বিল বাবদ ২ লাখ ৪ হাজার টাকা বিদ্যুৎ অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। ২০০৭ সালে জামানত হিসেবে পল্লি বিদ্যুৎ অফিসকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয়া হয়। স্থায়ী ভাবে সাব-ষ্টেশন করে ট্রান্সফরমারের জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ১শ টাকা দাবি করেছেন। সে টাকা না দেয়ায় তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।
0Share