নিজস্ব সংবাদদাতা
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না ওরফে ছোট মুন্না একটি একে-২২ রাইফেল ও ১৯৮ রাউন্ড গুলিসহ থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তার রয়েছে বিশাল এক বাহিনী। আর এ বাহিনীর নেতৃত্বে দিতেন সে নিজেই।
পুলিশ জানায়, বাহিনী প্রধান নিজাম উদ্দিন মুন্না পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং দুইটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী।
সদর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুইটি হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামী নিজাম উদ্দিন মুন্না আজ দুপুরে সদর থানায় আতœসমর্পন করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে একে পয়েন্ট টুটু ৪৭ গান, ১৯৮ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কয়েকবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
গ্রেফতার অবস্থায় পুলিশ সুপার কার্যালয় নিজাম উদ্দিন মুন্না সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসী জীবন একটি খারাপ জীবন, তাই নিজের ভূল বুঝতে পেরে পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে। সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাই। এবং গত কয়েকদিন আগে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছে বলে জানিয়েছে সে।
এ মুন্না পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার খবর শুনে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক একেএম টিপু সুলতান সদর থানায় ছুটে এসেছেন। এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক একে এম টিপু সুলতান বলেন, সম্প্রতি নতুন লক্ষ্মীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) এসে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে সে আত্মসমর্পণ করে থাকতে পারে। এ ধরনের একটি অত্যাধুনিক অস্ত্র লক্ষ্মীপুরে আছে এটি ভাবতে আমার অবাক লাগে। যে পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাস নিমূল না হবে সে পর্যন্ত পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাসী যে হোক, অস্ত্র বাজ যে হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। সবাইকে আইনের আওয়তায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।
0Share