লক্ষ্মীপুর: ‘সবাই হবো সাক্ষর আর দক্ষ, একুশ শতকে এই আমাদের লক্ষ্য’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র সহযোগিতায় এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), লক্ষ্মীপুর এর উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল রবিবার ৯টায় সনাক অফিস থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী প্রদক্ষিণ করে সরকারি আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে ইয়েস সদস্যরা সাক্ষরতা অভিযান শুরু করে এবং আগে থেকেই স্থাপিত বুথে সাক্ষরজ্ঞানহীন নারী-পুরুষদের সাক্ষর শিখানো হয়। ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী নানা কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং নিরক্ষরমুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার থেকেই জাতিসংঘ এ দিবসটি পালন করে থাকে। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, জনগোষ্ঠী ও সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। শিক্ষা লাভ আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও জনগণের সেই অধিকার এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উল্লেখ্য, প্রতি বছরের জাতীয় বাজেটের প্রায় ১৫% শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় যার প্রায় ৬০% পেয়ে থাকে প্রাথমিক শিক্ষা খাত। কিন্তু সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্তির পরও সাক্ষরতা অর্জন বা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা লাভ থেকে সাধারণ মানুষ এখনও বঞ্চিত হচ্ছে এ খাতে বিদ্যমান অনিয়ম, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিহীনতার কারণে। দুর্নীতির কবল থেকে শিক্ষা খাত রেহাই তো পায়ইনি বরং তা দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তার বহুবিধ কার্যক্রমের মধ্যে শিক্ষা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সেবামূলক খাত হিসেবে একটি সৎ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সততা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক শক্তি হিসেবে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। র্যালি ও সাক্ষরতা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সনাক এর সম্মানিত সভাপতি প্রফেসর মাহবুব মোহাম্মদ আলী, সদস্য ডা. মো. সালাহ্ উদ্দিন শরীফ, কার্তিক রঞ্জন সেনগুপ্ত, ভানু নাগ, সাইফুল ইসলাম ভূঞা তপন, পারভীন হালিম, স্বজন সদস্য রনজিত কুমার পাল ও আবদুল হালিম, ইয়েস সদস্য, ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ, টাউন প্রাইমারী সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং টিআইবি কর্মীবৃন্দ।
0Share