শাকের মোঃ রাসেল : লক্ষ্মীপুরে পৃথক ঘটনায় ২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীকে ¯স্বামী ও জামাইকে শশুর বাড়ীর লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। সদর উপজেলার চাঁদখালী এলাকায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে¯স্বামী জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
নিহত গৃহবধূ সেলিনা আক্তার একই উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দূর্গারামপুর এলাকার সিরাজ হোসেনের মেয়ে। আটককৃত জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আবদুল মালেকের ছেলে।
সেলিনাকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তার পিতা সিরাজ হোসেন জানান, আট মাসে আগে সেলিনার বিয়ে হয় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য জাহাঙ্গীর সেলিনাকে মারধর করতেন। একই কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও সেলিনাকে বেদম মারধর করা হয়। এরপর রাতেও তাক আরেক দফা পিটিয়ে হত্যা করে লাশটি ঘরের খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চলানো হয়।
অন্যদিকে, একই উপজেলার হোগলডহরী এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করার সময় মাসুদ আলম নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহত মাসুদ আলম ভবানীগঞ্জ গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
মাসুদ আলমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে পিতা আবদুল মালেক জানান, মাসুদ বৃহস্পতিবার রাতে তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পর পারিবারিক কলহের জের ধরে আলমগীর হোসেন, মোহাব্বত হোসেন ও আবদুল্লাহসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করে এবং লাশটি ঝুলিয়ে রাখে। আমার ছেলেকে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার সকালে সদর থানা পুলিশ পৃথক পৃথকভাবে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত মোঃ ইকবাল হোসেন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পৃথক ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর বলা যাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে, নাকি তারা আত্মহত্যা করেছেন।
0Share