নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পালেরহাট নামক স্থানে বিয়ের অনুষ্ঠানে সাত পুলিশ সদস্যকে বেধড়ম গণপিটুনি দেয় স্থানী লোকজন।
শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন তারা।
এ সময় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত বিয়ে বাড়ীতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফরহাদ হোসেন ও রানা ইসলাম নামে দু’জনকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে পালেরহাট ইয়ারপুর জালাল উদ্দিন মৌলভীর বাড়িতে মঞ্জুরুল ইসলামের বোন রাহেলা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যুবলীগের কর্মী রবিউল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি মঞ্জুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকার সংবাদ পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সৈকত শাহীন ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাসিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে ধরতে যায়।
এসময় লোকজনের সঙ্গে পুলিশের দ্বীর্ঘক্ষন বাক-বিতন্ড হয়। কিছু বুঝে না উঠতেই তারা লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশও তাদের ওপর পাল্টা হামলা ও কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক অহিদুল হক, নায়েক খলিলুর রহমান, কনস্টেবল আবদুর রব, ইকবাল হোসেন, মাইন উদ্দিন, হারুনুর রশিদ ও আবুল কালাম আজাদ আহত হন।
এ ছাড়াও স্থানীয় আমান উল্যা মাস্টার, রাকিব হোসেন, টিটু, ফরহাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিনসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সাতজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত অন্যদের গোপনে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
মঞ্জুরুল ইসলামের আত্মীয় জসিম উদ্দিনসহ অন্যরা জানান, বিয়ের বাড়িতে দুপুরে অতিথিদের খাবার সময় সাদাপোশাকে কিছু পুলিশ সদস্য প্যান্ডেলের ভেতরে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়। এ সময় পুলিশের হামলায় কমপক্ষে১৩ জন আহত হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সৈকত শাহীন জানান, রবিউল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি মঞ্জুরুল ইসলামসহ চার-পাঁচজন আসামি বিয়ে বাড়ীতে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আসামিদের ধরতে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
0Share