নিজস্ব প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব মান্দারীর ভাই ভাই ইটভাটা এলাকায় ডিবি পুলিশ ও সন্ত্রাসী কফিল বাহিনীর সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এতে ডিবির কনস্টেবল আবু সুফিয়ান, মাইন উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তুহিন, নাজমুল হুদা ও আবুল হোসেনসহ ছয়জন পুলিশ ও কফিল বাহিনীর দুই সদস্যসহ মোট আটজন আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় বাহিনীর প্রধান কফিল উদ্দিন ও তার সহযোগী সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ডগুলি উদ্ধার করা হয়। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কফিল উদ্দিন সদর উপজেলার পূর্ব মান্দারী গ্রামের সিরাজ মিয়া ও সুজন একই এলাকার নুর নবীর ছেলে।
ডিবি পুলিশ জানায়, পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কফিল বাহিনীর প্রধান কফিলসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সদর উপজেলার পূর্ব মান্দারীর একটি ইটভাটায় বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এ সময় পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ ও কফিল বাহিনীর সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ডিবির ছয় কনস্টেবল ও দুই সন্ত্রাসী আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় বাহিনী প্রধান কফিল উদ্দিন ও তার সহযোগী সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির ওসি মো. কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কফিল বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় বাহিনী প্রধান কফিল ও তার সহযোগী সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
0Share