নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী সীমা ধর্ষণ ও হত্যা মামালায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় লক্ষ্মীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল বাসিদ এ রায় ঘোষণা করেন । অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৫ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে একলাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ে জরিমানার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলছাত্রীর পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
শিমা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি হিরণ, নুর নবী, নুর আলম, হেদায়েত উল্যা হেদু, আনোয়ার, সাদ্দাম, সুমন, সোহেল, রাশেদ ও মানিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় প্রদানের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিরণ, নুর নবী, নুর আলম, হেদায়েত উল্যা হেদু ও আনোয়ার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্ণ লাল দেবনাথের বাড়িতে একদল ডাকাত ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
পরে ঘরের একটি কক্ষে স্কুলছাত্রী সীমাকে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সীমাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন সীমার দাদা কৃষ্ণলাল দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একাটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৫মে মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুন্সি এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব, অ্যাডভোকেট এ কে এম হুমায়ুন কবির, মোরশেদ আলমসহ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী।
0Share