আজিজুল হক মাউন, চন্দ্রগঞ্জ: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা। সড়ক গুলোর মধ্যে দিঘলী – দাসেরহাট সড়কের ২ কিমি, বসুরহাট – নতুন হাট সড়কের্য ৪
কমি, দাসের হাট – রামপুর সড়ক এবং দাসের হাট – পুকুরদিয়া সড়কের ২ কিলোমিটার রাস্তায়শত শত গর্তের কারণে মানুষের প্রতিদিন যাতায়তে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাস্তার বেহাল দশার কারণে যাত্রীদের অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কেউ কেউ দ্বিগুন পথ পাড়ি দিয়ে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, মান্দারী – দাসের হাট সড়কের জামিরতলী, বসুরহাট- নতুন হাট সড়কের পূর্ব সৈয়দপুর, দাসের হাট- রামপুর সড়কের পূর্ব সৈয়দপুর ও রামপুর গ্রামের এবং দাসের হাট- পুকুরদিয়া সড়কের লোকার দোকান, মদনা, এবং পুকুরদিয়া গ্রামের রাস্তা গর্তে ভরপুর। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে অসংখ্য যানবাহন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ এ সড়ক গুলো লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা, চন্দ্রগঞ্জ থানা শহর এবং নোয়াখালী জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম।
এ সড়ক গুলোর দূপাশে রয়েছে ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০ টি মাদ্রাসা ও একাধিক বেসরকারি কলেজ। এ ছাড়া রয়েছে ৩ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩ টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়ত করতে গিয়ে পথচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিতারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো ঃ মিজান জানান, রাস্তায় বড় বড় গর্ত থাকায় স্কুলে যাতায়ত করতে খুব কষ্ট হয়। দিঘলী ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন জানান, রাস্তা সংস্কারের জন্য বিগত ৩ বছর ধরে সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল আসে নাই।
চরশাহী ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ ও কুশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আহম্মদ উল্যা নাছিম জানান, রাস্তা গুলো সংস্কার করা হলে লক্ষাধিক মানুষ অল্প সময়ে ও কম খরচে লক্ষ্মীপুর, চন্দ্রগঞ্জ ও নোয়াখালীতে যাতায়ত করতে পারতো।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী মো ঃ তোফায়েল মিয়া রাস্তা গুলোর অসংখ্য গর্ত ও মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, বরাদ্দ পেলে রাস্তা গুলো সংস্কার করা হবে।
0Share