লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি ভোটও পাননি সদস্য প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন (টিউবওয়েল প্রতীক)। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, টাকার কাছে সব ভোটার বিক্রি হয়ে গেছেন। এজন্য নিজের নীতিনির্ধারকদের দোষারোপ করছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন।রিয়াজ বিএনপির সক্রিয় সমর্থক। তিনি রামগতি উপজেলা থেকে সদস্য প্রার্থী ছিলেন। ফলাফল বিবরণীতে তার শূন্য ভোট লেখা রয়েছে।
রামগতি ওয়ার্ডে রিয়াজের সঙ্গে আরও চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এ ওয়ার্ডে ৪৪ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন হেলাল। ১২০ জনের মধ্যে ১১৪ জন ভোট দেন। অনুপস্থিত ছিলেন ছয়জন।
রামগতি উপজেলার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দেবেস কুমার সিংহ সই করা ফলাফলে এতথ্য জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিটি ভোটের জন্য ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ভোটারদের দেওয়া হয়েছে। অনেককে ভোটে হেরে টাকা ফিরে পেতে ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে।
পরাজিত প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ভোটারদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করেছি। প্রচার-প্রচারণাও চালিয়েছি। তারা আমাকে ভোট দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেলসহ আমার নীতি-নির্ধারকরা সরে গেছেন। তারা বেইমানি করেছেন। এরমধ্যে ভোটাররা সব টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।’
সোমবার (১৭ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের অধীনে রামগতিসহ পাঁচটি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সদরে আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন, রায়পুরে যুবলীগ নেতা এবিএম ইয়াহিয়া বিন জাকারিয়া মামুন, রামগঞ্জে যুবলীগ নেতা সৈকত মাহমুদ শামছু ও কমলনগরে মনিরুল ইসলাম রিপু সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হন। সংরক্ষিত দুই নারী ওয়ার্ডে তাহমিনা আক্তার ও শারমিন জাহান অরিন সদস্য নির্বাচিত হন।
1Share