লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), লক্ষ্মীপুরের মধ্যে সোমবার সকালে অনলাইনভিত্তিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
“করোনাকালীন ইউনিয়ন পরিষদের সেবা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ, বাস্তবায়ন এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সনাক, লক্ষ্মীপুরের সহসভাপতি প্রফেসর জেডএম ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-,পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মানিক মিয়া, সচিব মোঃ নুরুল হুদা, সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান, মনতাজ মিয়াসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সনাক সদস্য বনশ্রী পাল চৌধুরী।
পরিষদের পক্ষে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সচিব মোঃ নুরুল হুদা। এরপর বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সনাক সদস্য কার্ত্তিক রঞ্জন সেনগুপ্ত, টিআইবি কুমিল্লা ক্লাস্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ হুমায়ুন কবির ও ইয়েস সদস্য নুর হোসেন রাশেদ। সার্বিক বিষয়ে চেয়ারম্যানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মানিক মিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন সনাক সদস্য সুলতানা মাসুমা বানু।
বক্তাগণ পরিষদের সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় ইউনিয়নের সকল উপকারভোগীর তালিকা দৃশ্যমাণ স্থানে সংরক্ষণের বিষয়ে তারা গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, সার্বিকভাবে সীবাবদ্ধতা থাকার পরেও সেবাদানকারীর আন্তরিকতার উপরে অনেক কিছু নির্ভরশীল।
এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রধানতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে উৎসাহদান, সে বিবেচনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি কিছুটা হলেও এ ইউনিয়নে দৃশ্যমান রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তবে ২৫০০/- টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ১০৮২ জনের তালিকা দৃম্যমান স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দেন তারা। ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান আরও উন্নত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর জেডএম ফারুকী তার বক্তব্যে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সম্পর্কিত তথ্য বিভ্রাটের বিষয়ে বলেন, ইউনিয়নে এ যাবৎকালে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কর্তৃপক্ষের অবগত থাকা জরুরি ছিলো।
যা আজকের সভায় উপস্থাপন করলে ভালো হতো। এছাড়া সভায় পরিষদের অনেক সদস্য উপস্থিত না থাকা এবং যারা ছিলেন তারাও কথা না বলার বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন পরিষদের কার্যক্রমে সক্রিয় নয় যা জনস্বার্থকে বিঘ্নিত করছে।
0Share