রায়পুর প্রতিনিধি: নবম শ্রেণীর বাংলা দ্বিতীয় পত্রে নাম্বার কম দেয়ার প্রতিবাদ করায় ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে মো. নাছির বেপারী নামের এক খন্ডকালীন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ে রূদ্ধদ্বার বৈঠকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল রচিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার ছুটির আগে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্ররা হলো রুবেল মাহমুদ, সোহাগ হোসেন, আকাশ আহমেদ, আলী হোসাইন ও রবিন হোসেন।
এছাড়াও প্রায় ৬ মাস পূর্বেও এ শিক্ষক অন্য ক্লাসে ছাত্রদের সাথে একই ধরণের আচরণ করে। ওই সময় সে বিক্ষুব্ধদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেকে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বলে দাবী করেছেন।
আহত ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফলাফলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের খাতায় ওই ছাত্ররা কম নাম্বার পায়। এ নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে বাগ-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক নাছির বেপারী ওই ছাত্রদের বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে উপর্যুপরি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে সকল ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলে বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষকের কক্ষে রূদ্ধদ্বার বৈঠক করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. নাছির বেপারী নিজেকে হাইমচর উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দাবী করে বলেন, ওই ছাত্ররা তর্ক করায় তিনি উত্তেজিত হয়ে মারপিট করেন। যেহেতু কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন সেহেতু তিনি আর এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।
রচিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক নাছির কিছুটা বদমেজাজের। অমানবিক আচরণ করায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল বাছেদ হাওলাদার বলেন, অমানবিক এ বিষয়টি কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের আরো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিষটি আমাকে অবগত করালে আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলেছি।
0Share