তাবারক হোসেন আজাদ: ফেন্সি আক্তার (২০)। সে বামন ও শারীরিক প্রতিবন্ধি। তার জন্মের দু’বছর পরই (প্রায় ১৩ বছর আগে) বাবা অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মারা যায়। মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। । নিজে, ছোট বোন ও নানীকে নিয়ে রায়পুর-চরভৈরবী বেড়ি বাঁধের পাশে অস্থায়ী একটি কুঁড়ে ঘর নির্মাণ করে মানবেতর জীবন চলছে। তার ছোট বোন শারমিন আক্তার (১৫) হায়দরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে বামন ও প্রতিবন্ধি ফেন্সি ভিক্ষা করতে নামেন।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রায়পুর শহরে ভিক্ষা করতে আসলে বামন প্রতিবন্ধি ফেন্সি আক্তার (২০) এ প্রতিবেদকের কাছে এ কথাগুলো বলে। সে সকলের সহযোগীতায় ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার বোনকে লেখাপড়া ও বিয়ে দিতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
ফেন্সি আক্তার জানান, রায়পুর-চরভৈরবী বেঁড়ি বাধ সড়ক কাঠের পুল নাম স্থানে তাদের বসবাস। প্রায় ১৩ বছর আগে পিতা ওহিদ আলী লাহারি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তার কয়েকদিন পরে তাদের দু’বোনকে অনাথ রেখে মা রোকেয়া বেগম অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায় । এ অবস্থায় তাদের দু’বোনকে নিয়ে নানী কুলসুমা বেগম বিষন সমস্যায় পড়েন। তারা এ বেলা খেলে অন্য দু’বেলা উপোষ থাকতে হতো। এতেও সংসারের অভাব দেখা দিলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় সরকারি প্রতিবন্ধি ভাতা ছয় মাস অন্তর ৩০০ টাকা করে ১৮শ টাকা ব্যবস্থা করে দেওয়। এতেও কোন উপায় না পেয়ে ভিক্ষা করতে নামেন ফেন্সি। রায়পুর বাজারে শুক্র ও শনিবার দু’দিন হাটের দিন ভিক্ষা করতে আসে। এতে তিন থেকে চার’শ টাকা রোজগার করে। এতে ছোট বোনের লেখাপড়া ও নিজেদের ভোরন-পোষন করতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। তার ছোট বোনের লেখাপড়া চালাতে,বাসস্থান, দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে সরকারি ও ভিত্তবানদের নিকট সহযোগীতা কামনা করেছেন।
চরআবাবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যা বিএসসি বলেন, বামন ও প্রতিবন্ধি ফেন্সিকে প্রতিবন্ধি ভাতা দেওয়া হয়। এর পরও তার পরিবারকে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব।
0Share