রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ৪২জন প্রার্থী প্রতিদিন ৪২টি মাইক দিয়ে তাঁদের প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী। রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, ৩১জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৬জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন করছেন। একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় একটি করে মাইকিং করার নিয়ম রয়েছে। প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলে এই মাইকিং।
১৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে দুপুর ১টার পর থেকে মাইকে প্রচারনা চলছে। কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, নির্বাচন কমিশন জনগণের কল্যাণে অনেক আচরণবিধি করেছে। বিধিগুলো মানছেনও প্রার্থীরা। ভোটের সময় মাইকের শব্দে লোকজনের সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয়। কমিশন মাইকিং করার সময়ের ব্যাপারে আরও কঠোর হলে জনগণ উপকৃত হবে।
কাঞ্চনপুর এলকার এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ জাহেদ হোসেন ও ফারহানা আক্তার বলেন, ১ ফেব্রুয়ারী আমাদের এসএসসি পরিক্ষা শুরু হবে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত মাইকিং চলে। তার মতে, অনেক সময় মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে কানে আঙুল দিয়ে পড়ার টেবিলে বসে থাকতে হয়। মাইক ব্যাবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন ১২টার দিকে রিক্সা ও সিএনজি চালিক অটোরিক্সায় মাই বেঁধে প্রস্তুত করে রাখেন। দুইটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেন মাইকিং।
ডিসলাইন ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, শহরে একটির পর একটি মাইক আসতেই থাকে। এতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। মাইকের যন্ত্রনাদায়ক শব্দের কারণে মোবাইলফোনে কথা বলাসহ কার্যক্রম করা যায় না। তবে মাইকিং টাকে আরও সীমিত করে দেওয়া উচিৎ।
তিনজন মেয়র ও তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। আর ১২দিন হাতে থাকায় তাঁরা প্রতিদিনই মাইকিং করাচ্ছেন। জনগণের কথা চিন্তা করে নির্বাচন কমিশন মাইকিংয়ের সময়সীমা কমিয়ে আনলে তাঁরা মেনে নেবেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাছির পাটওয়ারী বলেন, নিয়মনীতি মেনেই প্রার্থীরা মাইকিং করছেন। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মাইকিংয়ের বিষয়ে নীতিমালা করলে জনগন উপকৃত হবে।
0Share