স্বদেশ গ্লোরী এগ্রো প্রোডাক্টস সিবিজি কোম্পানির লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের অবৈধ ভ্রাম্যমান গ্যাস স্টেশনটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের মাধ্যমে এ পাম্পটি বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তি।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তি বলেন,
লক্ষ্মীপুর-রায়পুর ও চাঁদপুর সড়কের সিংগেরপুল এলাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে একটি ভ্রাম্যমান গ্যাস স্টেশন পরিচালনা হচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে পাম্পটিতে অভিযান চালানো হয়। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া মালিকপক্ষকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের সিংগেরপুল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মৃত জবি উল্যার ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৫ শতাংশ জমি ৩ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেন গ্যাস স্টেশনটির স্বতাধিকারি শফিকুর রহমানসহ তিনজন। গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকে দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ স্টেশনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে সিংহের পুল নামক স্থানে সড়ক গেসে অবৈধভাবে কাভার্ড ভ্যানে রাখা সিলিন্ডার থেকে ঝুঁটিপূর্ণ ভাবে প্লাস্টিক পাইব দিয়ে ভাসমান সিএনজি ফিলিং স্টেশনে সহজে দাহ্য ওই গ্যাস বিক্রি করা হয়। গত ১৫ দিন ধরে মহা সড়কে গেসে দু’টি কাভার্ড ভ্যান সব সময় ওইস্থানে দাঁড়ায়, আর জড়ো হতে থাকে গাড়ি। এক পর্যায়ে গাড়ির দীর্ঘসারির কারণে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজটও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকার সারা দেশে সিএনজি গ্যাস স্টেশনগুলোতে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্যাস বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দিলেও রায়পুরে এ স্টেশনে ২৪ ঘণ্টাই মেলে প্রতি লিটারে অতিরিক্ত ৯ টা বেশি দামে সিএনজি গ্যাস। এছাড়াও সিএনজি স্টেশন করার আগে ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু তাদের রায়পুর সিংহের পুরে স্থাপিত ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশনের) এসব কিছুই নেই। ট্রাকভর্তি সিলিন্ডার থেকে যেভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় অটোরিকশাচালক রুবেল দাশ, সেলিম উদ্দিন, পারভেজ, আব্দুর সালাম, বোরহান উদ্দিন, আব্দুর শুক্কুরসহ অনেকে বলেন, বৈধ ফিলিং স্টেশনে প্রতিপয়েন্ট (লিটার) সিএনজি বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪১ টাকা টাকায়। আর কাভার্ড ভ্যানে প্রতিপয়েন্ট (লিটার) গ্যাসের দাম ৫২ টাকা। অতএব অতিরিক্ত ৯ টাকা বেশি দিতে হয়।
রামগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের নেতা ও কোম্পানীর পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের অনুমদনের সকল কর্মকর্তারা আমাদের কাছে আসবেন। তখন দেখা যাবে কী অবস্থায়। সড়কের পাশে এটি থাকলে সিএনজি চালকরা দ্রুত গ্যাস নিতে পারে। মানুষের সেবা করার জন্যই এটি করছি আমরা। কয়েকজন। আর তাঁদের সহযোগিতায় রয়েছে রায়পুরের কয়েক নেতা।
0Share