দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসক সংকটে ভূগছিলেন লক্ষ্মীপুরের পাঁচ উপজেলাবাসী। মানসম্মত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তেন তারা। সুচিৎিসা নিশ্চিত করতে সারা দেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালসহ চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৭ জন সহকারী সার্জন (ডাক্তার) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নয়োগপ্রাপ্ত সহকারী সার্জনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রোগীদের সেবা প্রদান করবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে জেলা সদর হাসপাতালসহ চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৭ জন সহকারী সার্জন (ডাক্তার) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ১৪জন, রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন, রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন, কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ও রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন এবং তিন উপজেলা (রায়পুর, রামগঞ্জ ও কমলনগর) তিনজন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালগুলোতে এখনো ২২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। তবে সহসাই সে পদগুলোতে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে।
নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী সার্জন (ডাক্তার) হলেন, সদর উপজেলায় ডাক্তার রিয়াজ মাহমুদ, মোঃ নাজমুল আবেদীন, মেহের আফরোজ, মোঃ জিয়াউল হক, মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন, নার্গিস সুলতানা, বিথী, সুরাইয়া মাইদ, রাজীব চন্দ্র দাশ, সুব্রত সাহা, মারজাহান আক্তার, সৈয়দ ইউনুস, রেজাউল করিম মাসুম, মোঃ আরমানুর রহমান ও রিমা রাণী মজুমদার।
রায়পুর উপজেলায় মোঃ মাহমুদ হাসান, তন্ময় কুমার পাল, সাবরিন সাবা, সিরাজ মুনিয়া, সুস্মিতা বণিক, মোঃ শাহনেয়াজ খান, মিঠুন চন্দ্র বণিক, সোহেব হোসেন, ফারজানা ফেরদৌস ও সাদিয়া রহমান।
রামগঞ্জ উপজেলায় মেহরাব হোসেন মজুমদার, ইমদাদুল হক, সালমা নাসরিন মিতু, জামাল হোসেন, সামির মোহাম্মদ তাসরিক, শরামিন ইসলাম, ইমরান হোসেন, গিয়াস উদ্দিন ও আবু মোহাম্মদ হাসান।
কমলনগর উপজেলায় মোঃ সাকিরুল ইসলাম, ঈষিতা নন্দী, মাইশা মোস্তাফিজ ও মোঃ ওয়ালি উদ্দিন মাসুদ এবং রামগতি উপজেলায় ঈষিতা সাহা, সমিত পাল, সাজেদা আক্তার স্বপা, জাহাঙ্গির আলম ও ফারজানা হক লিজা।
এর মধ্যে তিনজন সহকারী ডেন্টাল সার্জন হলেন, আরজুমান সবিহা, তুরিন চৌধুরী চন্দ্রিমা ও প্রিন্স দাস।
সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল গফফার জানান, চিকিৎসক সংকট নিরসনে জেলায় চলতি মাসে ৪৭ জন সহকারী সার্জন (ডাক্তার) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদিকে ২২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হলে চিকিৎসক সংকট আর থাকবে না এই জেলায়। এছাড়াও জেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ১৭৬ জন সিএইচসিপি তৃণমূল পর্যায়ে সেবা প্রদান করছে।
0Share