প্রতিদিন ২শ ৫০ জন মানুষকে উন্নত মানের খাবারসহ রমজানের ইফতারী দিচ্ছে “আমরা রায়পুর’’ নামে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার একটি সামাজিক সংগঠন। খাবারের মেনুতে থাকছে বিরাণী, মুরগী মাংস, ডিম, বিশুদ্ধ পানি, নানা রকম সবজি এবং ফল।
প্রতিদিন তালিকা করে বিভিন্ন এতিমখানার ছাত্র, মাদ্রাসা ছাত্র, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, সরকারি হাসপাতালের গরীব রোগী, বেদে সম্প্রদায়, রিকশা চালক, সিএনজি চালক, ভিক্ষুক, অসহায় এবং ভ্রাম্যমান মানুষ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডদের মাঝে পুরো রমজান জুড়ে এসকল খাবার নিয়মিত বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রতিদিন খাবার রান্না করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২জন পেশাদার পাচক। আর খাবার পরিবেশনের কাজে আছে ১০জন স্বেচ্ছাসেবী যুবক। স্বেচ্ছাসেবী প্রত্যেকে ওই সংগঠনের সদস্য। রায়পুর আলিয়া মাদরাসার একটি কক্ষে খাবার রান্না ও জিনিসপত্র রাখা হয়।
গত ১ রমজান থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়ে আগামী শেষ রমজান পর্যন্ত তা বিরতিহীন ভাবে চলবে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, সংগঠনের স্থানীয় সমন্বয়কারী কামরুল আল মামুন।
সংগঠনের অপর সমন্বয়কারী ও পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার, বর্তমানে বিদেশী মিশনে অবস্থানরত মো: মিরাজুর রহমান পাটোয়ারী মোবাইল ফোনে জানান, স্থানীয় এলাকার অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে নিজের বন্ধুদের নিয়ে এ কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানানা তিনি।
সংগঠনের অনেক সহযোগীদের মধ্যে রাকিব আল হাসান, আহমেদ ফয়েজ এবং ফাহাদ কাদের প্রতিনিয়ত এ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নানা ভাবে সহযোগীতা করছেন। পাশাপাশি তরুণ সদস্যরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করছেন।
“আমরা রায়পুর’’ সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন মানুষের জন্য ‘ফুড ক্যাম্পেইন’ প্রজেক্ট এর আওতায় রান্না করা খাবার ও ইফতার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর জন্য আর্থিকভাবে সহযোগীতা করছে রায়পুরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
সংগঠন সূত্রে আরো জানা যায়, অনেকগুলো স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের মধ্য রমজানে এ কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিনই তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমরা রায়পুরের ‘ফুড ক্যাম্পেইন’ এর আওতায় ‘বেবী মিল্ক প্রজেক্ট’ নামের আরো একটি কার্যক্রম চলছে। ওই এ প্রজেক্টের আওতায় সামর্থ্য না থাকা পরিবারের বাচ্চাদের জন্য তাদের চাহিদা অনুযায়ী বেবী মিল্ক পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
আসন্ন ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী পরিস্থিতিতেও অসহায় মানুষদের পাশে থাকার জন্য সহযোগীদের যাকাত ফান্ড থেকে প্রতি বছর সম্ভব কয়েকজন বেকার যুবককে স্বাবলম্বী করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সংগঠনের সমন্বয়কারীরা দেশ-বিদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কে অনুরোধ জানিয়েছেন তাদের এ কার্যক্রমে সহযোগীতা করার জন্য। অন্যদিকে রায়পুরের একঝাঁক তরুণ যারা সংগঠনের মাধ্যমে এ মহতী কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের সবার জন্য দোয়াও চেয়েছে আমরা রায়পুর সংগঠনের কর্মকর্তারা।
0Share