লক্ষ্মীপুরে পৃথক স্থান থেকে কুলছুমা ও চম্পা বেগম নামে অস্বাভাবিক ভাতে মৃত দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ একটি ডোবা থেকে ৫০ বছর বয়সী চম্পা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সকালে রায়পুরের উত্তর চরবংশী থেকে ৪০ বছর বয়সী কুলছুমা বেগমের মৃতদেহ তার স্বামীর বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়। এর পৃথক দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। চম্পা বেগম কালভার্ট এলাকার মৃত আলী হোসেনের স্ত্রী। তার ৫ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। মেয়েরাও বিবাহিত। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন।
খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ও পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এছাড়া উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের কুলছুমা (৪০) ওই গ্রামের হাফেজ আলী ফকিরের মেয়ে। সংসারে বিয়ের পর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে স্থানীয় কয়েক শিশু চম্পা বেগমকে বাগানে ও ডোবার আশপাশে কচুর লতি খুঁজতে দেখে। দুপুরে তার মরদেহ ডোবায় ভেসে উঠে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। নিহতের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। নারীর কোমড় থেকে ব্যবহৃত মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, চম্পা বেগম স্ট্রোক করে ডোবায় পড়ে পানিতে ডুবে মারা যান।
অপরদিকে রায়পুরের উত্তর চরবংশী গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শশুর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। রোববার ভোর রাতে পুলিশ কুলছুম বেগম মৃতদেহ স্বামী মিজান মল্লিক এর ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী মিজান মল্লিক ও তার পিতা কাশেম মল্লিক পলাতক রয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদন পেলে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে। একই কথা জানালেন রায়পুর থানার ওসি মো.জলিল মিয়া। তবে পর থেকে স্বামী মিজান মল্লিক ও তার পিতা কাশেম মল্লিক পলাতক রয়েছে।
0Share