রায়পুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের চাপে বেসামাল হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। পরাজয়ের শঙ্কায় রয়েছেন ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন হলে রায়পুর উপজেলার কেরোয়া, সোনাপুর, চরপাতা, ১নং চরআবাবিল ও ৮নং দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থীদের পরাজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বিদ্রোহীদের কারণে।
৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা ও ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, একই ব্যক্তিকে দু’ইবার ও তিন বার করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হলে তৃণমূলে ক্ষোভ দানা বাঁধবে এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতির প্রতি যাদের দুর্বলতা আছে তাদের প্রত্যেকেরই আশা আকাঙ্ক্ষা থাকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। তবে শঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে ৫ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের চাপে তাদের প্রচারণায় রয়েছে মন্থর গতি। কেরোয়া, চরআবাবিল ও চরংবশী এই তিনটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দুলাল হাওলাদার, আব্দুর রশিদ মোল্যা ও বাবুল পাটোয়ারীদের প্রচারণায় কোনঠাসা অবস্থায় আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থীরা।
এর মধ্যে ১নং চরআবাবিল ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদ উল্যা এখনো প্রচারণায় সেভাবে নামতে পারেননি। এদেিক দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রশিদ মোল্যা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন ওই ইউনিয়নে। এছাড়াও সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোহাগ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় অনেকটা কোনঠাসা অবস্থায় নৌকার প্রার্থী ইউসুফ জালাল কিসমত। কেরোয়া ও চরপাতা ইউনিয়নেও একই অবস্থা। সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন হলে এই ৫টি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিজয় হাতের নাগালে রয়েছে। অপেক্ষা শুধু ২৮শে নভেম্বর ভোটের দিন পর্যন্ত।
সর্বোপরি নিজ দলের বিদ্রোহীদের চাপে লক্ষ¥ীপুরের রায়পুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৫ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থীদের বিজয় অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে অতীত কর্মকা- ও প্রশাসন নির্ভরতা তাদের একমাত্র ভরসা হতে পারে। এছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন বলেন, আমরা বিদ্রোহীদের ব্যাপারে সমঝতার চেষ্টা করেছি। বিষয়টি জেলার নেতাদের সাখে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউপিতে নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট হবে। তবে এবার উপজেলার কোনো ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে না বলে নির্দেশনা রয়েছে।
0Share