লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ছয় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তিনি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। রোববার বিকেলে চরপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এই সাংবাদিকদের মারধরের চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভুক্তভোগী ইত্তেফাক পত্রিকার ফটোসাংবাদিক শামছুল হায়দার বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার করার ভিডিও করছিলেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ তেড়ে এসে মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরে ভিডিও-ছবি ডিলিট করে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এ সময় ওই পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাইদুর রহমান, জাগো নিউজের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার সিরাজুজ্জামানসহ পাঁচজন সাংবাদিক তাঁকে উদ্ধার করতে আসেন। পরে তাঁদেরও গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। সাইদুর রহমান বলেন, গতকাল শনিবার তাঁরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য রায়পুরের চরপাতা ইউনিয়নে যান।
উপজেলা চেয়ারম্যান ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা। ভোটকেন্দ্রে বহিরাগত জড়ো করে প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই দিনও তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁর বাজে আচরণ খুবই দুঃখজনক। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, ওই সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে বিষয়টি মিটমাট করে ফেলেছেন। মুঠোফোন ভেঙে ফেলার বিষয়টি সঠিক না।
0Share