এমআর সুমন, রায়পুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সেই গুদাম রক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর থেকে চাঁদপুর জেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ মেহেদি হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরজমিনে এসে তদন্তের এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
গত ২৫ আগষ্ট “রায়পুর মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের গুদামে ব্যক্তিগত ব্যবসা” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার ফলে নড়াচাড়া দিয়ে উঠে মৎস্য বিভাগ। পরে ৩ সদস্যের গঠিত কমিটি সেই কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে মাঠে নেমে প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্থানীয় লোকজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন বলে জানা যায়।
দুপুরে উপজেলার মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর মৎস্য প্রজনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গুদাম রক্ষক মো. মোকতার হোসেন গুদামে বিরুদ্ধে অধিদপ্তর থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এসে তদন্ত শুরু করেছেন। এতে চাঁরপুর জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ মেহেদি হাসান, লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও চাদপুর সদর মৎস্য কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন।
চাঁরপুর জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ মেহেদি হাসান বলেন, কোন কর্মচারী প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্থাপনা ব্যবহার করে ব্যবসা, বাহিরে গিয়ে ফিস হ্যাচারী সাথে জড়িয়ে পোনা বিক্রি করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে সরকারি সম্পদ লুণ্ঠনের অভিযোগে গুদাম রক্ষক মো. মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিক ভাবে কিছু সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। সবগুলো ঘটনা যাচাই বাচাই করে লিখিত ভাবে তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সরকারি গুদাম ব্যবহার করে গুদাম রক্ষক মো. মোকতার হোসেন গুদামে মাছের ওষুধ, খাদ্য রেখে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি সরকারি এ প্রতিষ্টানের পাশে নিজেই বাবুল ফিস হ্যাচারি নামের একটি হ্যাচারিও স্থাপন করেন। সরকারি হ্যাচারিতে মাছের পোনা কিনতে আসলে তিনি অনেক ক্রেতাদের নিজের প্রতিষ্টানে নিয়ে পোনা বিক্রি করেন। এর আগেও মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁকে তিনবার অন্যত্র বদলি করা হয়। পরে আবার সেই বদলির আদেশ বালিত করেন কর্তৃপক্ষ।
0Share