রায়পুর প্রতিনিধি: মাদক নির্মূল ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সকলের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা পেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব হবে। সর্বাত্মক সহযোগিতা না পেলে ৩৭ জন পুলিশের পক্ষে কখনোই রায়পুরের ৩ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা প্রাপ্তি সম্ভব নয়।
বুধবার বিকাল ৪টায় রায়পুর মার্চ্চেণ্টস্ একাডেমী মিলনায়তনে রায়পুর থানার উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার শাহ্্ মিজান সাফিউর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে এবং সেবন করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে সামাজিক সচেনতা গড়ে তুলতে হবে। বিগত দিনের হত্যা মামলাগুলোর আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শহরের যানজট নিরসনে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের স্ব-উদ্যোগে ফুটপাথ থেকে অবৈধ স্থাপনা ও অস্থায়ী দোকানপাট সরিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মনজুরুল হক আকন্দ। সঞ্চালনা করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) নাজিম উদ্দিন। সহযোগিতা করেন ওসি (তদন্ত) সোলায়মান চৌধূরী, এসআই আবুল বাশার, এসআই মো. সিরাজ, এএসআই সুভাষ চন্দ্র রায়।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি, পৌরসভার মেয়র এবিএম জিলানী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, মাজেদা বেগম, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল খোকন, পৌর আ.লীগের আহ্বায়ক কাজী জামশেদ কবির বাক্কী বিল্লাহ, জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান মুন্সী, মার্চ্চেণ্টস্ একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী পাটওয়ারী, রায়পুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি তাবারক হোসেন আজাদ, মা-মাটি মানুষ সম্পাদক সফিউল আজম চৌধূরী জুয়েল, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি পীরজাদা মাসুদ হোসেন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইমাম হোসেন, পৌর কাউন্সিলর জাকির হোসেন নোমান পাটওয়ারী, ছাত্রলীগ নেতা মারুফ বিন জাকারিয়া প্রমুখ।
ওইসময় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ৩ শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।
0Share