তাবারক হোসেন আজাদ: রোববার রায়পুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগ ও বি.এন.পি’র চার প্রার্থী এলাকায় বিদ্যুৎ, সড়ক নির্মান, নদী ভাঙ্গন রোধসহ স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রতি দিয়ে গনসংযোগে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী, দোকানে ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভোট চাইছেন। আর ভোটাররাও তাদের গ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে যে কাজ করবে তাকে ভোট দিবেন বলে প্রার্থী প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপ-নির্বাচনকে ঘিরে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান ও বি.এন.পি নেতা গাজী মোস্তফা কামাল (কাপ পিরিচ),গাজী আব্দুল মোতালেব (চশমা) এবং আ’লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী খালেদ দেওয়ান (মটর সাইকেল),যুব লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন গাজী (আনারস) প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তবে এদের মধ্যে গাজী মোস্তফা কামাল এবং খালেদ দেওয়ান ছাড়া বাকী দুজন ড্যামী প্রাথী বলে জানান কয়েক জন ভোটার ।
কয়েকজন ভোটার জানান, এই ইউনিয়নে ৩৫ হাজার মানুষের বসবাস। ১২ গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, প্রায় ১০০ কিলোমিটার কাচা সড়ক, সেনিটেশনের অবস্থা অত্যান্ত খারাপ, নদী ভাঙ্গনের কবলে প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিশ্ব রয়েছে। এসব সমস্যায় সমাধান করতে পারলে তিনিই হবেন এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক ইউনিয়ন চেয়াম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা গাজী ও আ’লীগ নেতা খালেদ দেওয়ানের লোকজন একে অপরের দলের নেতা কর্মীদেরকে ভয়-ভীতি দেখানোর স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। ভোটের দিন উভয়ের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ঐ দিন উভয় দলের নেতা কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের আশংকা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার নাছির উদ্দিন চৌধুরী জানান, নির্বাচনের দিন অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে ম্যাজিষ্টেটের পাশাপশি পুলিশের সাথে এলিটফোর্সের সদস্যরা সার্বক্ষনিক তদারকি করবেন। সমস্যা দেখা দিলেই ভোট গননা বন্ধ করার নির্দেশনা রয়েছে।
রায়পুর থানার ও.সি এ.কে.এম. মঞ্জুরুল হক আখন্দ বলেন, ওই ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনের দিন আইন শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থায় থাকবে।
ইউনিয়নে ২২ হাজার ৪শত ৬৯ জন ভোটার রোববার ১০ টি কেন্দ্রে ৫৫ বুথে গিয়ে ভোট প্রধান করবেন।
উল্লেখ্য গত ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার জামায়াত প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তখন ঐ ইউনিয়নটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
0Share