তাবারক হোসেন আজাদ: রায়পুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বইয়ের তীব্র সংকটের কারণে প্রায় ২৮ হাজার দলিল আটকা পড়ে আছে। ফলে দলিলগ্রহীতাদের জমির মূল দলিল না নিতে পেরে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কার্যালয়গুলোতে চাহিদা অনুযায়ী ২০ শতাংশ বালাম বইও সরবরাহ করা হয় না। ২০১১ সাল থেকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বইয়ের সংকট চলছে। কিন্তুএ কারণে গ্রহীতাদের দলিল ফেরত পেতে বিলম্ব হচ্ছে। দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার দুই-তিন মাসের মধ্যে বালাম বইয়ে তা লিপিবদ্ধ করে গ্রহীতাদের কাছে মূল দলিল ফেরত দেওয়ার বিধান থাকলেও বালাম বই-সংকটের কারণে তিন-চার বছর আগের দলিল এখনো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বালাম বই না থাকায় প্রায় ২৮ হাজারের বেশি দলিল ফেরত দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে ২০১০ সালের মূল দলিল ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিদিন অসংখ্য গ্রহীতা দলিল নিতে এসে না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
জমির ক্রেতারা জানান, আগে জমি নিবন্ধন করার কয়েক মাসের মধ্যে মূল দলিলের তথ্য বালাম বইয়ে লেখার পর তা ক্রেতার কাছে হস্তাস্তর করা হতো। বর্তমানে বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও জমির ক্রেতারা দলিল পাচ্ছেন না।
দলিল গ্রহীতা মো. সুমন হোসেন ও দেলোয়ার জানান, অনেকে মূল দলিল না পেয়ে নকল (জাবেদা) দলিল নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন নকলনবিশ কাজ করেন। বালাম বই না থাকায় এ নকলনবিশেরা এখন কাজ না পেয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, দ্রুত বালাম বইয়ের সংকট দূর করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী বালাম বই সরবরাহ করা হয় না।
0Share