সংবাদদাতা: রায়পুরে মটরসাইকেল চুরির হিড়িকের মধ্যেই দৈনিক জনকন্ঠ রায়পুর উপজেলা প্রতিনিধি প্রদীপ কুমার রায়ের পৌরসভা অফিসের সামনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে মোটর সাইকেল
চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। এ ঘটনায় তিনি রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তিনি প্রতিদিনের ন্যায় কার্যালয় বন্ধ করে বাজারে খেতে যান। রাত পৌনে ১০টার দিকে ফিরে দেখেন পেছনের দরজা খুলে তার ডিসকভারী ১০০ সিসি মোটর সাইকেলটি নেই। সম্ভাব্য সকল স্থানে বহু খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
অবরোধে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে পুলিশ যখন বিরামহীন অভিযান চালাচ্ছে ঠিক সেই সময় রায়পুরে বেড়েই চলছে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা। এক সপ্তাহের ভিতরেই ছুরির ঘটনা ঘটেছে রায়পুর পৌর শহরে।অফিসের কাজ নিয়ে বাস্তবতা নিরীক্ষা করার চেয়ে মন থাকে সংশ্লিষ্ট ঐ ব্যক্তি তার গাড়ি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
এ দিকে সম্প্রতি রায়পুর পৌর শহরে লিওন ফামের্সির এমপিও আঃরবের মোটরসাইকেলটি সরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে কথা হয় আঃরবের সাথে তিনি বলেন ভাই কি আর বলবো নতুন গাড়ি নিয়ে গেছে মন খারাপ।
ঠিক তার পরের দিন মাতৃছায়া সুপার হাসপাতালের এমডি তুহিন চৌধুরীর কলাপসিবাল গেট ভেঙে তার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই ব্যাপারেও কথা হলে তুহিন চৌধুরী বলেন আজকাল রাস্তায় নিরাপত্তা নেই মানলাম তাই বলে বাড়িতেও নিরাপত্তা থাকবে না! তাহলে পুলিশ কেন রাতে রাস্তায় ডিউটি করে। কে দিবে আমাদের নিরাপত্তা?
তুহিন চৌধুরীর অভিযোগের পরিপেক্ষিতে এই নিয়ে কথা হয় রায়পুর থানার এএসআই মহাসিন এর সাথে তিনি জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগন যদি থানায় অভিযোগ করেন তাহলে আমরা আইনি ব্যাবস্তুা নিবো। তাছাড়া পুলিশ নিয়মিত রাস্তায় টহল দিচ্ছে নিয়মিত।
এই ব্যাপারে পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঢাকা থাকায় তার বক্তব্য জানা যায় নি।
রায়পুর এর বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বলেন, মোটরসাইকেল চুরির হোতারা রামগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, চাটখিল কেন্দ্রীক।তাদের একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট এই অপতৎপরতায় লিপ্ত।মূলত ইয়াবা বিক্রিতে এই মোটর সাইকেল চুরির বড় ভূমিকা রয়েছে।
রায়পুর গাজী কমপ্লেক্স ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাঃ সম্পাদক শিবলু ভাট বলেন এই গাজী কমপ্লেক্স এর সামনে থেকে যে কতো মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। চোরচক্র এতটাই দূরদর্শ যে লক ভেঙে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। থানাকে ঝামেলা ভেবে কেউ অভিযোগ করতে চায় না।
এই নিয়ে রাতে কথা হয় লক্ষীপুর -২ আসনের এমপি মোঃনোমান এর সাথে তিনি বলেন,রাতে পুলিশের টহল ও গাড়ির কাগজপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছি সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে। পরবর্তী মাসিক মিটিং এ এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিবো এবং পাহাড় ট্রলির ব্যপারেও কথা হবে। রাস্তা নষ্ট করার অন্যতম মাধ্যম এই দানব যানটি।
এলাকবাসীর দাবী বিআরটিসি ও পুলিশের যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে নিয়মিত এই চুরির প্রবনতা কমবে। নেমে আসবে রায়পুরে অপকর্ম।
0Share