লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ একটি সিএনজি গ্যাস পাম্প কার্যক্রম চালাচ্ছে। জনবসতিপূর্ণ পৌরসভার আঙ্গারপাড়ার জোড় কবরস্থান এলাকায় স্বদেশ গ্লোরী সিভিজি গ্যাস স্টেশন বিপজ্জনকভাবে কাভার্ডভ্যানে স্থাপিত সিলিন্ডারের মাধ্যমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহনে এ গ্যাস বিক্রি করছেন।
বাখরাবাদ গ্যাসের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এটি করছেন। এতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
এদিকে, ওই ভ্রাম্যমাণ প্রক্রিয়ায় গ্যাস বিক্রি বন্ধ করতে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
সোমবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লক্ষ্মীপুর এরিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) আলতাফ হোসেন এ চিঠি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়ার জোড় কবরস্থান এলাকায় প্রভাবশালী পাঁচ ব্যক্তি স্বদেশ গ্লোরী সিভিজি গ্যাস স্টেশন করে। ১৯ ফেব্রয়ারি এর উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে তারা বিপজ্জনকভাবে কাভার্ডভ্যানে স্থাপিত সিলিন্ডারের মাধ্যমে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহনে গ্যাস বিক্রি করছেন। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করায় যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বদেশ গ্লোরী সিভিজি গ্যাস স্টেশনের মালিক পক্ষের প্রতিনিধি মো. মামুন বলেন, সারা দেশে এমন ১৭টি গ্যাস স্টেশন রয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়ো গ্যাস সরবরাহ করায়, এখানে ঝুঁকির কিছু নেই। সরকার এ ধরনের উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিচ্ছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রেজাউল করিম বলেন, ভ্রাম্যমাণ সিএনজি গ্যাস পাম্পের বিষয়টি জেনেছি। এ নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লক্ষ্মীপুর এরিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) আলতাফ হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ প্রক্রিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করা বিপদজ্জনক। যেকোনো সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় গ্যাস বিক্রি বন্ধ করতে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
0Share