লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গদাধর দাসকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রামগতি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঈন উদ্দিন বাদী হয়ে শনিবার (২৫ মে) দুপুরে এ মামলা দায়ের করেন। এতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গদাধর দাসসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে রামগতি পৌরসভার চর ডাক্তার আশ্রম বাজারে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসময় এক এএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনার পর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদেরকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি গদাধর দাসকে সন্ধ্যায় কমলনগর উপজেলার করুনানগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গদাধর রামগতি পৌরসভার চর ডাক্তার আশ্রম বাজার এলাকার কর্নধর দাসের ছেলে। তবে আসামি গদাধরের কত দিনের সাজা রয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আশ্রম বাজার এলাকার সুব্রত চন্দ্র দাস, রিংকন চন্দ্র দাস, রুপন চন্দ্র দাস, মরন চন্দ্র দাস, রকি চন্দ্র দাস, রঞ্জিন চন্দ্র দাস, অমল চন্দ্র দাস, দীপক চন্দ্র দাস, অনিল চন্দ্র মজুমদার ও সংগীত চন্দ্র দাস।
ছিনতাইয়ের সময় হামলায় আহত পুলিশের এএসআই মঈন উদ্দিন, কনস্টেবল আশরাফুল আলম ও ফোরকান রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
থানা পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর আসে চর ডাক্তার আশ্রম বাজারে চা দোকানে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গদাধর অবস্থান করছে। এসময় আসামি গ্রেফতার করার জন্য এএসআই মঈন উদ্দিন ৬ কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার রাতে নিয়মিত টহলে বের হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গদাধরের চিৎকারে তার সহযোগী এগিয়ে এসে হামলা চালায়। এতে এএসআই মঈনউদ্দিনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করে গদাধরকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রামগতি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
0Share