লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনায় মাছ শিকারের দায়ে ৫ জেলেকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৩ জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন ওই অর্থ দন্ডাদেশ দেন।
এর আগে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘনা নদীর টাংকীর ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে নৌ-পুলিশ। এসময় ৬টি নৌকা, ৫ হাজার মিটার জাল ও প্রায় ৬০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
রামগতি উপজেলার টাংকী এলাকার বাসিন্দা মো: বাহার (২২), মো: মিরাজ (৩০), মো: হেজু (১৮), মো: রিপন (২৪), মো: রিয়াজ (২৪) কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো: সোহান (১৩), আমির হোসেন (১৪), মো: আরিফ (১৫) কে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে ।
রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর জানান, নদীতে মা ইলিশ শিকাররের সময় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় ৬টি নৌকা, ৫ হাজার মিটার জাল ও ৬০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন বলেন, জব্দকৃত জাল ও নৌকা অভিযান শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন বলেন, নদীতে অভিযান চলাকালে মাছ শিকারের দায়ে আটককৃত এ দন্ড দেওয়া হয়েছে। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় ১’শ কিলোমিটার এলাকায় কোন প্রজাতির মাছধরা যাবে না। পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
0Share