লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত স্থানে শেখের কিল্লা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে “বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্মৃতি ইতিহাস রক্ষা কমিটি”। সোমবার ৯মার্চ, বিকেলে রামগতি উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন রামগতির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সংগঠনের আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ উল্লাহ সওদাগরের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংস্থা ডরপের প্রতিষ্ঠাতা, গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত এএইচএম নোমান, রামগতির সাবেক পৌর মেয়র আজাদ উদ্দিন চৌধুরী, রামগতি উপজেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা, উপজেলা নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন ফেরদৌস।
মানববন্ধন থেকে অভিযোগ করা হয়, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২সালের ২০ফেব্রুয়ারি যেখানে এসে ওড়া-কোদাল হাতে মাটি কেটে কিল্লা স্থাপন করেছেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ না করে অন্য একটি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, আলেকজান্ডার-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে চর পোড়াগাছায় সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু আসেন এবং তিনি মাটি কেটে সাধারণ মানুষকে দেশ বিনির্মানে উদ্বুদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধু এখানে এসে মাটি কেটে কিল্লা স্থাপন করেন এবং সে কিল্লাকে কেন্দ্র করে আজকের নোয়াখালীর সোনাপুর টু রামগতির আলেকজান্ডার সড়ক। আমরা চাই, যেখানে বঙ্গবন্ধুর পদদলিত হয়েছে, সেখানেই যেন স্মৃতি স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়। অন্য কোথাও স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হলে রাস্তা অবরোধ করে কঠিন আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
বক্তারা আরো বলেন, কিছু কুচক্রি মহল ব্যবসায়িক ও স্বার্থ হাসিলের জন্য গুচ্ছগ্রামে স্মৃতি স্তম্ভটি নির্মাণের চক্রান্ত করছে। গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৬সালে আর বঙ্গবন্ধু আসছিলেন ১৯৭২সালে। সে সময়ে মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রামের পরিকল্পনা করা হয়। যা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে বাস্তবায়ন হয়। অন্য কোথাও এ স্তম্ভ নির্মাণ হলে ইতিহাস বিকৃতি হবে এবং সেটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। কারণ, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি শুভ কোন লক্ষণ নয়।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন পোড়াগাছা শেখের কিল্লা সমাজ ও ১৯৭২সালের ২০ফেব্রুয়ারি স্বেচ্ছাশ্রমের মাটি কাটার সর্দার মো. অলী উল্লাহ, সংগঠনের সদস্য আবদুল হাশিম, মো. আবদুল জলিল, আবদুল মালেক বাচ্চু মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয়রা স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নানের নিকট সঠিক স্থানে শেখের কিল্লা স্থাপনের জন্য স্মারকলিপি দেন।
0Share