লক্ষ্মীপুর জেলায় ২য় করোনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে রামগতি উপজেলায়। রবিবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার বয়স পঞ্চাশের বেশি। তিনি উপজেলার রামগতি পৌর এলাকার বাসিন্দা। আক্রান্ত ব্যক্তি কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জে তাবলিগে যান।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সোমবার জানা যাবে । এ নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় সনাক্ত হয়েছে ২জন।
আর আগে রবিবার জেলার প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে রামগঞ্জে । এ ঘটনায় রবিবার উপজেলার লামচর ইউনিয়ন এবং দরবেশপুর ইউনিয়নের একটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনিবার (১১এপ্রিল) রাতেই ঢাকাস্থ কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল।
অন্য দিকে ১৩ এপ্রিল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, করোনাভাইরাসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতিতে আসা ব্যক্তিদেরে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন এলাকায় তারা আত্মগোপনে থাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। তবুও বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে প্রশাসন তাদের কারও কারও বাড়ি লকডাউন করে দিচ্ছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে নমুনা।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ ওই সব জায়গাসহ তাবলীগ জামায়াত থেকে কমলনগর ও রামগতির বিভিন্ন এলাকায় এসেছেন। এদের মধ্যে কমলনগর উপজেলা প্রশাসন চরমার্টিন ও চরকাদিরা এলাকার দুই ব্যক্তির দু’টি বাড়ি লকডাউন করে ৬৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। রামগতি উপজেলার জনতাবাজার, সবুজগ্রাম, বড়খেরী ও চররমিজ এলাকার নয় বাড়ি লকডাউন করে দেওয়ার পাশাপাশি আট জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আত্মগোপনে থাকা অপর ব্যক্তিদের তথ্য দেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমি জানান, ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও তাবলীগ ফেরত আট ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে নয়টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এ সময় তাদের পরিবারের ২৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
0Share