সয়াল্যান্ড খ্যাত জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আগাম ও অতিবৃষ্টিতে মাঠে দন্ডায়মান রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূল জুড়ে গত কিছুদিন ধরে অতিবৃষ্টিপাতে ফলে সয়াবিনের মাদারল্যান্ড ও বৃহত্তর নোয়াখালীর শস্যভান্ডার রামগতির কৃষি ও কৃষকের রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে পুরো উপজেলায় লকডাউন থাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া উঠতি ফসল শ্রমিক সংকটে ক্ষেত হতে তুলতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান আবাদকৃত একাধিক কৃষক। সরকার ও কৃষি অফিস সহযোগিতা না করলে না খেয়ে মারা যাবে বলে জানান ভূমিহীন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কৃষি ভিত্তিক পরিবারের সংখ্যাই বেশী। এখানে বড় কৃষক রয়েছে প্রায় ২৩০০ জন, মধ্যম কৃষক রয়েছে ৮৫০০ জন, ক্ষুদ্র কৃষক রয়েছে ৬৮০০ জন, প্রান্তিক কৃষক রয়েছে ৮৭৫০ জন আর ভূমিহীন রয়েছে ১৩৫০০ জন।
এদিকে অতিবৃষ্টিপাতের ফলে এ উপজেলায় ১৫,৫০০ হে: সয়াবিন আবাদী জমির ৭,৭৫০ হে: জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে, চিনাবাদাম করা হয়েছে ২,৫০০ হে: ক্ষতিগ্রস্থ ১,২০০ হে:, মরিচ ৬০০ হে: জমিতে করা হয় তাতে ৩০০ হে: ক্ষতিগ্রস্থ, মুগ ১,০৫০ হে: ক্ষতিগ্রস্থ ৫২৫ হে:, ফেলন ২০০ হে: ক্ষতিগ্রস্থ ১০০ হে:, ভূট্টা ৩০ হে: ক্ষতিগ্রস্থ ১৫ হে:, বোরো ৪৭০ হে: জমিতে করা হয়েছে যার কোন তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, ৮০০ হে: জমিতে সবজি করা হলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ১০০ হে: জমির ফসল, আখ ১৫ হে: যার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি, মিষ্টি আলু ১৫০ হে: এর মধ্যে ৭৫ হে: ক্ষতিগ্রস্থ হয়, পান ২০ হে: ক্ষয়ক্ষতি হয় ৫ হে:, আউস ১০০ হে: জমিতে চাষ হয় এতে ৫০ হে: জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, কৃষি নির্ভর জীবিকায়নের এ এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কৃষি ও কৃষকের বিশেষ ক্ষতির কারণ। এখানে নদী ভাঙ্গনের ফলে ছিন্নমূল ভূমিহীনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বর্তমানে অতিবৃষ্টির ফলে মাঠে দন্ডায়মান রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাচ্ছেনা। আমরা কৃষি কর্মীরা সব সময় মাঠে আছি বাস্তব মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক এ ক্ষতির পরিমাণ যা পরবর্তিতে মাঠ থেকে পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে।
0Share