সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বুধবার , ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
লক্ষ্মীপুরের ভাষা সৈনিক তোহা কে ভুলে যাচ্ছি না তো ?

লক্ষ্মীপুরের ভাষা সৈনিক তোহা কে ভুলে যাচ্ছি না তো ?

লক্ষ্মীপুরের ভাষা সৈনিক তোহা কে ভুলে যাচ্ছি না তো ?

তোয়াহা ০১সান উল্লাহ সানু: ফেব্রুয়ারীর একুশ আসলেই আমরা ভাষা শহীদদের নানা ভাবে স্মরণ করি। ভাষা আন্দোলনের শহীদরা ছাড়াও ওই সময়ে জীবিত সব সৈনিকদের কথা আমার অনেকেই জানি না। এদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের মধ্যে অন্যতম সংগঠক আমাদের লক্ষ্মীপুরের সন্তান কমরেড তোহা । একুশে ফেব্রুয়ারীতে লক্ষ্মীপুর জেলাব্যাপী অসংখ্য অনুষ্ঠান থাকলেও কোন অনুষ্ঠানেই কমরেড তোহা কে বিগত দিনে স্মরণ করা হয়নি। অথচ বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ মহান নেতার ছিল অসামান্য অবদান। ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থ এবং বিশ্ব বিখ্যাত মুক্তজ্ঞান কোষ উইকিপিডিয়ায় এ মহান ব্যক্তির কর্মে স্বীকৃতি পাওয়া যায়। তাই ফেব্রুয়ারী আসলে আমরা অবশ্যই আমাদের জেলার এ কৃতি সন্তান তোহা কে স্মরণ করতে হবে।

উইকিপিডিয়া অনুসারে মোহাম্মদ তোহার ভাষা আন্দোলন সহ মুক্তিযুদ্ধের নানা অবদান তুলে ধরা হলো:

মোহাম্মদ তোয়াহা ( Mohammad Toaha ) ছিলেন ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং রাজনীতিবিদ। এই আন্দোলনের সময় তাকে অন্যমত একজন ছাত্র নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হতো। মোহাম্মদ তোয়াহা লক্ষ্মীপুর জেলার কুশাখালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও পরবতীতে তাদের পরিবার এখনকার কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট এলাকায় স্থান্তরিত হয়।

তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৩৯ সালে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেন। পরে ১৯৪৮ সালে তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞানে তিনি এমএ সম্পনন করেন। ১৯৪৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসে সে সময়ের মঙ্গার বিরুদ্ধে নামতেই তিনি রাজনীতিতে আসেন।

তিনি ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে তিনি অধিকাংশ পোষ্টার, নিবন্ধ, লিফলেট তৈরী করেছিলেন। ১১ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে যখন তোয়াহার নেতৃত্বে একটি দল সচিবালয়ে খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিতে যায় তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করা। পরে তিনি তাদের দ্বারা নির্যাতন হন এবং অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে তাকে হাসপাতালে একটা সপ্তাহ থাকতে ছিল হয়েছিল।

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি এর একজন নেতা হিসেবে, তোয়াহা সরকারের সাথে সকল ধরনের বৈঠকে অংশ নিতেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ভিপি ছিলেন। যখন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সেখানে এসেছিলেন, তোয়াহা তাকে তাদের ভাষা চাহিদা সম্পর্কে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন।

সরকার যখন আরবি স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে বাংলা লেখার জন্য প্রচারনা চালাচছিল তখন তনি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মী পরিষদে তিনি যুব লীগের সংবাদদাতা ছিলেন। ১৯৫২ সালের শেষের দিকে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

তিনি দুই বছর পরে মুক্তি পান এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রন করেছিলেন যেখানে যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়েছিল। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন ।

১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় রামগতি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছিলেন। মেহাম্মদ তোয়াহা “পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিষ্ট পার্টি (এম. এল.) নাম ত্যাগ করে শুধু কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) নাম নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তারা মুক্তিযুদ্ধে বা পাকসেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বাম দল ও গ্রুপের সমন্বয়ে “বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মা. লে.) গঠন করেন।
মৃত্যু
২৯ নভেম্বর ১৯৮৭ সালে মোহাম্মদ তোয়াহা মারা যান। সাবেক রামগতি বর্তমান কমলনগর উপজেলা সদর হাজিরহাটে তার সমাধি রয়েছে ।

লক্ষ্মীপুরের ব্যক্তিত্ব আরও সংবাদ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন লক্ষ্মীপুরের সৌরভ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন মাহফুজ আলম

পিলখানা হত্যাকান্ড: লক্ষ্মীপুরের সুবেদার নুরুল ইসলামের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব চান সন্তান

আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন মাস্টারের জানাযায় মানুষের ঢল

আমেরিকায় জনপ্রিয় হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের প্রবাসী মনির দম্পত্তির চাষাবাদ ও কৃষি ট্যুরিজম

বার কাউন্সিলের সনদ পেলেন কর বিষয়ক লেখক সিরাজ উদ্দিন

Lakshmipur24 | লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধিত নিউজপোর্টাল  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2025
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Muktizudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com