আলী হোসেন :: স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্বাধীনতা ও বিজয় স্তম্ভ নির্মিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তাই আগামী ২০১৭ সালে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পালনের আগেই চন্দ্রগঞ্জে স্বাধীনতা এবং বিজয় স্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে বৃহত্তম নোয়াখালীর প্রাণকেন্দ্র ছিল চন্দ্রগঞ্জ বাজার। তৎকালীন সময়ে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর এই দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থান চন্দ্রগঞ্জ হওয়ায় এখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার দিক নির্দেশনা দেওয়া হত।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। তখন পাক বাহিনীর আগমন ঠেকাতে মুক্তিযোদ্ধারা চন্দ্রগঞ্জ বাঁধের গোড়ার ব্রীজটি মাইন বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেন। এছাড়া ৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী চন্দ্রগঞ্জের নুরমিয়া মুন্সি বাড়িতে অগ্নিসংযোগকালে ওই বাড়ির ১১ জন নর-নারীকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নানা স্মৃতি বিজড়িত সেই চন্দ্রগঞ্জে এখনও স্বাধীনতা এবং বিজয় স্তম্ভ নির্মিত না হওয়াকে দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
চন্দ্রগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আমেরিকান প্রবাসী ফ্লোরিডা স্টেট যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রমিজ উদ্দিন স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল এবং সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু এই দুইজনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, আগামী ২০১৭ সালের আগেই যেন চন্দ্রগঞ্জে স্বাধীনতা এবং বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
0Share