রামগতিরহাট ডাকঘর (৩৭৩২) লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার প্রথম এবং সবচেয়ে প্রাচীন ডাকঘর। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে সাবেক নোয়াখালী জেলার অধীনে ভাড়া একটি ঘরে ডাক সেবা দিতে শুরু করে এ ডাকঘরটি। দীর্ঘ এ ৭২ বছরেও ডাকঘরটি ভাগ্যে স্থায়ী কোন ভবন জুটেনি। এখন পর্যন্ত জীর্ণশীর্ণ ভাড়া ঘরেই চলছে ডাকঘরটি। সে ভাড়া ঘরটিও টিনসেডের । একটু বৃষ্টিতেই অফিসের আঙিনায় পানি জমে একাকার।
ডাকঘরে গেলে পোস্ট মাস্টার জানান, এ ডাকঘরে নেই কোন ভাল লকার, নেই আসবাবপত্র, নেই ডিজিটাল পাল্লা, গ্রাহকদের এসব পেরিয়ে পোস্ট অফিসে ঢুকতে হয়। নতুন প্রজন্ম এর অবস্থান সম্পর্কে অজানা।
জানা যায়, এক সময়ের জনপ্রিয় ডাকঘর এখন অনেকটাই অবহেলিত। জনগণের সেবাদনকারী এই ডাকঘরের ব্যাপারে সবাই উদাসীন। রামগতিরহাট সাব পোস্ট অফিসের অবস্থা একবারেই করুণ।
অন্যদিকে দেখা যায়, বর্তমানে ডাকঘরের সেবার পরিধি বেড়েছে। স্বল্প খরচে দেশ-বিদেশে চিঠি, পার্সেল পাঠানো ও বিলিসহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানি ট্রান্সফার সেবাও দিচ্ছে এই ডাকঘর। এছাড়াও সঞ্চয় হিসাব, মেয়াদি হিসাব, সঞ্চয়পত্র, ডাক জীবন বীমা ও ই-সেন্টারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ নানান সেবা প্রদান করে থাকে।
শুধুমাত্র সু-পরিচিত স্থানে সুন্দর পরিবেশে নিজস্ব ভবনে না হওয়ায় এত ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহকদের। কেননা ব্যক্তিগত বাসার মধ্যে হওয়ায় অনেকের অজানা আবার ডাকঘরের অবস্থান একটু দূরে হওয়ায় অনেক মধ্যে অনিহা প্রকাশ, ডাকঘরটি টিনশেড ভাড়া বাসায় হওয়ার কারণে আর্থিক লেনদেন করতে অনেকের মনে ভয়-ভীতি বিরাজ করছে। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
রামগতির হাট উপ ডাকঘরের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর ডাকঘর উপ বিভাগের পরিদর্শক মো: খালেক হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের সহযোগিতার মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো: মনিরুজ্জামান বলেন, নতুন ভবনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন নিদের্শনা নেই। এসকল কাজ অধিদপ্তরের, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের মাধ্যমে এধরনের নতুন ভবন নির্মানের কাজ বাস্তবায়ন করে থাকেন।
রামগতিবাসীর প্রত্যাশা দ্রুত রামগতির হাট উপ ডাকঘরের নিজস্ব ভবন সুন্দর পরিবেশে উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা হবে। তাহলে সেবার মান বাড়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়ে যাবে।
0Share