জুনাইদ আল হাবিব: সবচেয়ে সহজ ও আরামদায়ক ভ্রমণের তালিকায় নৌ-রুটে অনেকেরই পছন্দ। আর এ সুবিধা পেতে চান লক্ষ্মীপুরের প্রায় ২০ লাখ মানুষ। দাবি ওঠেছে ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর নৌ-পথে লঞ্চ সার্ভিস চালু করার। মেঘনার কূল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে দেশের উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম জেলা লক্ষ্মীপুর। ঘুরতে যাওয়া, পড়াশুনা, চাকরি বা অন্যান্য কাজের বিস্তৃত পরিধির কারণে এখান থেকে ঢাকাগামী যাত্রীর সংখ্য অবশ্য কম নয়। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সড়ক পথে ভোগান্তির জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে স্বপ্নের শহরে যান। আবার নাড়ির টানে শেকড়ে ফেরার সময়ের গল্পটা এমনিই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নৌ- পথে ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর যাতায়াতে লঞ্চ সার্ভিসের দাবি ওঠছিলো বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু এ যাবত লঞ্চ সার্ভিস চালুর বাস্তবায়ন স্বপ্ন যেন কালো মেঘের ছায়ায় ঢেকে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনসার উদ্দিন মনির বলেন, “বিভিন্ন জটিলতম সমস্যার মধ্যে আমরা লক্ষ্মীপুর থেকে মহাসড়ক হয়ে ঢাকা যাচ্ছি। যার সময় লাগে ৫থেকে ৬ঘন্টা আর নৌ-পথে আমরা যদি যাই তাহলে সময় লাগবে ৩ঘন্টা বা সাড়ে ৩ঘন্টা। অনেক সময় আমরা চাঁদপুর হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এখানের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ না। তাছাড়া এখানে দিয়ে যেতেও অনেক পথ সড়কে পাড়ি দিতে হয়।”
উপকূল সন্ধানী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু বলছিলেন, ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর নৌ-পথে সহজ সংযোগ থাকলেও এখানে এখনো লঞ্চ সার্ভিস হয়নি। এতে করে লক্ষ্মীপুর আসতে হলে আমাকে চাঁদপুরের হাইমচরের চর ভৌরবী লঞ্চ ঘাট হয়ে অনেক দূরত্বের পথ অতিক্রম করে লক্ষ্মীপুর আসি।”
সেনা কর্মকর্তা সোলায়মান চৌধুরী জানান, ” ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু হলে একদিকে যেমন সব বাঁচবে, অন্যদিকে অর্থও বাঁচবে আর লঞ্চে বহু কর্মকর্তার কর্মসংস্থান হবে। এজন্য আমরা দ্রুতই এ নৌ-পথে লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবি জানাই”।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুছ সাত্তার পলোয়ান বলছিলেন, “ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ সার্ভিস চালু এখন সময়ের দাবি। এ নৌ-রুটের সঙ্গে কমলনগর ও রামগতিকে যুক্ত করতে হবে। কমলনগরের মতিরহাট আর রামগতির আলেকজান্ডার। তাহলে এ সুবিধাটি কমলনগর- রামগতির ৪লাখ মানুষ ভোগ করতে পারবে। যেহেতু মেঘনার প্রবাহ কমলনগর-রামগতির একেবারে বুকের ওপর দিয়েই। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টি সম্পর্কে দ্রুত কাজ করে যাবে বলে আমরা আশারাখি।”
0Share