সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে যাত্রী পারাপারের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১০ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার মজু চৌধুরীরহাট মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন, আনোয়ার হোসেন, আবু তাহের ও শাওন আহমেদ। তারা ভোলা ও বরিশালের বাসিন্দা। তবে এসময় মজুচৌধুরীরহাট এলাকার স্পীডবোট চালকরা আত্ম গোপনে চলে যায়। তাদের কে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম জানান, মেঘনায় অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরী ঘাটে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল লঞ্চঘাট। প্রথম দিকে এ ঘাটটি যাত্রী পারাপারের নিরাপদ রুট হলেও বর্তমানে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে ঘাটের ইজাড়া নেয়। এরপর যাত্রীদের কে বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে ইচ্ছে মতে ভাড়া আদায় করছে।
স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিভিন্ন উৎসবে যখন যাত্রীর চাপ বেড়ে যায় তখন ওই প্রভাবশালী চক্র যাত্রীদেরকে হয়রানির উৎসবে মেতে উঠে। তারা ১০০ টাকার ভাড়া ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে।
ঈদকে সামনে রেখে মজু চৌধুরীরহাট ঘাটে যাত্রীদের ভিড় থাকে। এসময় ওই প্রভাবশালী চক্র নানা মাধ্যমকে ম্যানেজ করে রাতদিন টাকা আয়ের উৎসবে মেতে উঠে। স্পীডবোট ও ট্রলারে যাত্রী প্রতি ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে, এমন অভিযোগে সোমবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মজু চৌধুরীরহাট ফেরিঘাট-লঞ্চঘাটসহ মেঘনার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। একটি ইঞ্জিন চালিত জব্দ করা হয়েছে। নৌকার মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
0Share