লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে বাদ পড়া দুইজনকে অন্তভূক্তির নির্দেশ দিয়েছে জেলা আ.লীগ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এবং সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন৷
এ দুই নেতা হলেন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের এডভোকেট মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও হাজিরহাট ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমান বাবলু। শাহীনকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং বাবলুকে শ্রম বিষয়ক সম্পাদক পদে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১২ মে কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শাহীনকে আইন বিষয়ক এবং বাবলুকে শ্রম বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের ২০ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উক্ত দুই পদে ওই দুই জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তথ্য গোপন করে তাদের নাম বাদ দিয়ে কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে, যা সংগঠনের নিয়ম ও শৃঙ্খলার পরিপন্থি।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও দলীয় স্বার্থে সম্মেলনের দিন যে দুইজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাদেরকে স্ব-স্ব পদে বহাল রাখা হলো। একই সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রকাশিত ওই দুটি পদে পদায়নকৃত ব্যক্তিদের পদ বাতিল করা হলো
বাতিলকৃত দুইজন হলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নুর মোহাম্মদ ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মনছুর মোল্লা।
নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) বলেন, সম্মেলনের দিন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের নাম ঘোষণা করেছেন৷ কিন্তু পরবর্তীতে রহস্যজনক কারনে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমাদের নাম আসেনি। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে জেলা আওয়ামী আমাদেরকে পদে অন্তর্ভুক্তি করতে উপজেলা আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দেওয়া চিঠির বিষয়টি অবগত হয়েছি। ওই দুইজনকে পদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
123Share