বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর প্রধান নির্বাহী জনাব এ এইচ এম বজলুর রহমান, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য (২৩ জুলাই) ভার্চুয়াল/অনলাইন সেশনে জাতিসংঘের তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব ফোরাম ২০২০ এর ইনক্লুসিভ এক্সেস টু ইনফরমেশন এন্ড নলেজ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের পলিসি সেশনে টানা ৫ম বারের মতো প্যানেল আলোচক মনোনীত হয়েছেন।
জাতিসংঘের তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব ফোরাম ২০২০ হলো তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে প্রতিনিধিত্বকারীদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ষিক ফোরাম যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে জোরদার করে।
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ), ইউনেসকো, ইউএনডিপি ও জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন যৌথভাবে এই বিশ্ব ফোরামের আয়োজন করে। এই ফোরাম সমন্বয়ের জন্য একটি দক্ষ কৌশল হিসেবে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, যা বিভিন্ন অংশীজনদের মাধ্যমে কার্যক্রম বাস্তবায়ন, তথ্য আদান প্রদান, জ্ঞানের উন্নয়ন, ভালো অনুশীলনগুলোর পুনরায় বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
২০২০ সালের জাতিসংঘ তথ্য সমাজ বিষয়ক বিশ্ব ফোরাম (ডব্লিউএসআইএস+১৫) একটি প্ল্যাটফরম হিসেবে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ২০০৫ সাল থেকে কাজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন ও অর্জনগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়নে তথ্য প্রযুক্তির কি ভূমিকা হবে এবং কিভাবে পর্যালোচনা ও ফলোআপ হবে ২০৩০ সালের আলোচ্যসূচি বাস্তবায়নে বিশ্ব পরিসরে কিভাবে কাজ করবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও তথ্যভিত্তিক সমাজ গঠন করার জন্য সবার ধারণা, জ্ঞান ও তথ্য প্রদানে অবদান রাখার জন্য সক্ষমতা তৈরি করা। উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক জ্ঞান বৃদ্ধি ও সহভাগিতা জোরদার করা যার মাধ্যমে তথ্যে সবার ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকারের বাঁধা দূর করা। একটি সর্বজনীন রূপরেখা তৈরি ও সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তথ্যের ব্যাপক ক্ষেত্র তৈরি করা।
জনগণের জন্য একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র তৈরি করা তথ্য ভিত্তিক সমাজের বিকাশসহ বহুবিধ সুবিধা তৈরির জন্য, জনগণকে শিক্ষিত করা। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্ভাবনী, ব্যবসায়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য এ বিষয়গুলো একান্ত প্রয়োজনীয়। তথ্যে প্রবেশের ক্ষেত্র হবে সহজে প্রবেশযোগ্য এবং তথ্যভিত্তিক সমাজ গঠনে সহযোগিতা করার জন্য এবং এগুলোর অপব্যবহার রোধে কাজ করবে। তথ্যে সহজ ও ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকারের জন্য তথ্য সংরক্ষণ যেমন লাইব্রেরি তৈরি, সংরক্ষণাগার, জাদুঘর তৈরি, সাংস্কৃতিক সংগ্রহশালা এবং সমাজভিত্তিক প্রবেশাধিকারের পয়েন্টগুলোকে আরো শক্তিশালী করা উচিত।
সব অংশীজনদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তথ্য ও জ্ঞানের উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সফটওয়ার মডেল প্রোপার্টি, ওপেন সোর্স এবং ফ্রি সফটওয়ার এর ব্যবহার করা যার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা তৈরি করা। ব্যবহার কারীর মাধ্যমে পছন্দে বৈচিত্র নিয়ে আসা এবং সকল ব্যবহারকারীদের বিকাশ এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে এর ব্যবস্থা করা। সেই সাথে সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যবহার করতে পারে এবং এই বিষয়টিকে একটি অন্তুর্ভুক্তিমূলক তথ্য সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে মনে করতে হবে।
সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারি এবং ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করে আয়োজকবৃন্দ ভার্চুয়াল ফরমেট বা অনলাইনের মাধ্যমে এই সেশনগুলো পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনাগুলো ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজকরা এই ভার্চুয়াল ফোরাম আয়োজনের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য এই প্ল্যাটফরমকে গুরুত্বপূর্ণ চালক হিসেবে গড়ে তোলা এবং সমস্ত অংশীজনদের ১৫ বছরের সহযোগিতাকে কাজে লাগানো।
বিএনএনআরসির কর্মপ্রচেষ্টা হলো বাংলাদেশে গণমাধ্যমের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধাসমূহ বিবেচনায় রেখে গণমাধ্যমের জ্ঞানভিত্তিক ও চলমান ইস্যু উভয় বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের উন্নয়ন করা এবং কন্ঠহীনদের জন্য কণ্ঠ সোচ্চার করা।
বিএনএনআরসি নলেজ-ড্রাইভেন মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট-এর ভূমিকায় আঞ্চলিক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করে থাকে। এটি জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) ও জাতিসংঘের ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল-এর বিশেষ পরামর্শক মর্যাদাপ্রাপ্ত সংস্থা এবং জাতিসংঘের ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার-২০১৬, ২০১৭, ২০১৯ এবং ২০২০-এর বিজয়ী এবং চ্যাম্পিয়ন।
0Share