সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর রবিবার , ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তারিত তথ্যসহ ‘আম্পান’আপডেট

ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তারিত তথ্যসহ ‘আম্পান’আপডেট

ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তারিত তথ্যসহ ‘আম্পান’আপডেট

সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর ১৬ মে শেষ রাতেই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়টির পূর্ব নির্ধারিত নাম Amphan ‘আম্পান’।

ঝড়টির নাম দিয়েছিল India Meteorological Department আইএমডি‘র সদস্য রাষ্ট্র থাইল্যান্ড।’ বাংলাদেশও আইএমডির একজন সদস্য। আইএমডি বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে যেসব সাইক্লোন বা ঝড় দেখা দেয়, সেগুলির নামকরণ করে থাকে।

আগামী ১৯ মে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত শুরু করে  ২০ মে তারিখে ‘আম্পান’ পুরোপুরি ল্যান্ডফোল করার পূর্বাভাস দিয়েছে নাসা এবং জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি-জেটিডব্লিউসি আবহাওয়াবিদরা। ‘আম্পান’ এর প্রভাবে বজ্রসহ প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে জেটিডব্লিউসি আবহাওয়াবিদরা।

ঝড়টি  রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘন্টায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল।  বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ‘আম্ফান’’ এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কিছু জেলায়।

রবিবার (১৭ মে) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৮৫ কিলোমিটার  দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এখন আছে এক হাজার ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঝড়ের নামকরণ জরুরি কেন?

ঝড়ের নম্বর  ব্যবহার করার বদলে সাইক্লোনের নাম রাখলে শুধু যে জনসাধারণ সহজে মনে রাখতে পারে তাই নয়। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানী, মিডিয়া, উদ্ধারকারী দল প্রভৃতির কাজের সুবিধা হয়। নির্দিষ্ট নাম ব্যবহার করলে সাইক্লোন বা ঝড়টি বর্তমান অবস্থান এবং তীব্রতা নির্ধারণ, দ্রুত সতর্কীকরণ, এবং একই অঞ্চলে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দূরীকরণের কাজে সুবিধা হয়।

সমুদ্রের তাপমাত্রায় ঝড় সৃষ্টি হয়:

ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা কমপক্ষে ২৬-২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকা আবশ্যক এবং একটি নির্দিষ্ট গভীরতা(কমপক্ষে ৫০ মিটার)পর্যন্ত এ তাপমাত্রা থাকতে হয়। বাংলাদেশ বর্ষাকালের শুরুতে এপ্রিল-মে মাসে এবং বর্ষার শেষে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা দেয়।

কোনটা কি ঝড়  ?

বাতাসের তীব্রতা এবং ধ্বংসক্ষমতা অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতে ঘূর্ণিঝড়কে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় যদি ৬২-৮৮ কিলোমিটার)

তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ (বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় যদি ৮৯-১১৭  কিলোমিটার)

হ্যারিকেন বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ (বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় যদি ১১৮-২১৯  কিলোমিটার)

সুপার সাইক্লোন (গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি )

 

সানা উল্লাহ সানু/ সম্পাদক, লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর

জলবায়ু আরও সংবাদ

১৯৭০ থেকে ৫৪ বছরের ঝড়ে উপকূলে অন্তত ১২ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়

বৃষ্টির আশঙ্কা,বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা

৫১ বছরেও লাখ লাখ নিহত উপকূলবাসীর স্মরণে কোন উদ্যোগ নেই

লক্ষ্মীপুরে মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি

উপকূল দিবসে কমলনগরে আলোচনা সভা ও দোয়া

ঝড়ে লাখ লাখ নিহতের স্মরণে আজ পালিত হচ্ছে “উপকূল দিবস’’

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com